কার্ত্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ
বাংলায় তৃনমূলের তোলাবাজির ট্যাক্সে চলছে ঝাড়গ্রামের শালবনি রাবনপুড়া মাঠে এসে এই ভাসাতেই তৃনমূলকে কটাক্ষ করলেন স্মৃতি ইরানি।
তিনি বলেন “বাংলাতে যে পার্টি চলছে ওরা নিজেরাই একটা ট্যাক্স চালায়।এই মঞ্চ থেকে জানতে চাইছি আপনারা কি তৃনমূলের তোলাবাজির ট্যাক্সের কথা শুনেছেন।তৃনমূলের তোলাবাজি ট্যাক্স টা কি,কলেজে ভর্তি চাও তো তৃণমূল কে তোলাবাজি ট্যাক্স দিতে হবে,চাকরি চাও তো তৃণমূল কে তোলাবাজি ট্যাক্স দিতে হবে ।গরিবের বাড়ি চাও তো তৃণমূল কে তোলা বাজি ট্যাক্স দিতে হবে।এই করুন অবস্থা আজকে বাংলার মানুষকে আপনি করেছেন,দিদি কে বলতে চাইছি এই অত্যাচার বাংলার মানুষ আর সহ্য করবেনা।পশ্চিমবাংলার জনগন আরেক বার ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার তৈরী করবে।”
এ দিন ঝাড়গ্রামে বিজেপি-র সমাবেশে মাঠ উপচে দিলেন বিজেপি কর্মীরা।আর সেই সমাবেশে যখন স্মৃতি ইরানি,দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়রা ভাষণ দিলেন,উদ্বেল হলো জনতা।হাততালি থেকে চিৎকারে ফেটে পড়ল মাঠ।যা দেখে উচ্ছসিত গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
এমনিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম-সহ জঙ্গলমহলের একাধিক জেলায় বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি সরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি।গ্রামসভা এবং পঞ্চায়েত সমিতির বহু আসনে জোড়াফুলকে কুপোকাৎ করে ফুটেছিল পদ্মফুল।বেলপাহাড়ির মতো প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রার্থীই দিতে পারেনি তৃণমূল।শাসকের দাপটে যখন বাংলার মোট পঞ্চায়েত আসনের ৩৪ শতাংশে ভোটই হয়নি,তখন কোথাও যদি শাসক দল প্রার্থী দিতে না পারে তাহলে সেটা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বৈকি।এ দিনের সমাবেশ দেখে অনেকেই বলছেন, পঞ্চায়েতের সংগঠনকে আরও মজবুত করেই লোকসভার দিকে গুটিগুটি পায়ে এগোচ্ছে বিজেপি।মাঠের ছবি দেখলেই বোঝা গিয়েছে,পঞ্চায়েত স্তরের সাংগঠনিক শক্তি দিয়েই মাঠ ভরিয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা।সেখানে অমিত শাহের আসা না আসা কোনও ফ্যাক্টরই হয়নি।
আরও পড়ুনঃ নামগান শুনে ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584