নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
গানের সুরে কলকাতার সঙ্গে লন্ডনের এক অন্যরকম যোগাযোগ তৈরি হতে চলেছে। ভারতীয় মার্গ সঙ্গীত ও দক্ষিণীতে রবি ঠাকুরের গানে ডিপ্লোমা করার পরেও লোকসঙ্গীতের প্রতি এক গভীর টান অনুভব করেন শিল্পী সোমা দাস। লন্ডনে থাকলেও নিজের শিকড়ের প্রতি অনুরাগ তাঁর। সঙ্গীতের যে কোনও ধারা নিয়েই চর্চা করতে পছন্দ করেন তিনি।
আগামী ১৮ জুলাই তিনি ‘মানব উৎসব’- এ বাংলার মাটির গান পরিবেশন করার সুযোগ পেয়েছেন ‘ডি মন্টফ্রট বিশ্ববিদ্যালয়-লেস্টার’-এ আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশীয় ঐতিহ্য মাস’ হিসেবে পালিত অনুষ্ঠানে। সোমা সেখানে গান পরিবেশন করবেন ডিজিটাল মাধ্যমে ।
করোনার মহামারীতে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবিত শহর এই লন্ডন। সোমা উত্তর কলকাতার মেয়ে। বাংলার মাটির গানের মাধ্যমে মানসিক ক্ষত নিরাময়ের চেষ্টা করবেন তিনি। এই গানের রচয়িতারা তাঁদের গানের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের মর্মকে লালন করেছেন। সে সম্বন্ধে লালন ফকির, দ্বিজ দাস, আব্দুল করিম প্রত্যেকেই তাঁদের গানে একটি ধর্মের কথা বলেছেন, যা মানবতার কথা বলে। এই কঠিন সময়ে সেই চিরন্তন একতার বাণী, বিশ্ব মানবতার কথা সোমা শোনাবেন বাংলার মাটির গানে,গানে।
কলকাতায় তাঁর সাম্প্রতিক সফরকালে তিনি কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভালের প্রথম মরসুমের সাথে যুক্ত ছিলেন, যেখানে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন স্ট্রিট মিউজিশিয়ান অংশ নিয়েছিলেন। সোমা সর্বদা একটু অন্যভাবে ভাবেন যা তাঁর প্রতিটি উদ্যোগকে আলাদা করে তোলে। সোমা লোকশিল্পী, উপজাতীয় সংগীতশিল্পী, পথ সংগীতশিল্পী সব ক্ষেত্রেই নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।
ঐতিহ্যবাহী পুরানো ব্যান্ড পার্টি গ্রুপ মেহবুব ব্যান্ড এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন সোমার রবীন্দ্রসঙ্গীত অ্যালবাম প্রকাশ অনুষ্ঠানে।দেবজ্যোতি মিশ্র অ্যালবামটির সংগীত আয়োজন করেছিলেন। বোলপুর থেকে বহুরূপীর একটি দল উপস্থিত হয় সোমার “ফিরে আসছি” গানটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুনঃ ফের বন্ধ ‘দাদাগিরি’র শুটিং
এই প্রথমবারের মতো কোনও গানের প্রকাশ অনুষ্ঠানে বহুরূপীদের উপস্থিতিতে হয়েছিল। গানটি সোমার জন্য বানান জয় সরকার।বাউলদের সঙ্গে শান্তিনিকেতনে শুটিং থেকে সাঁওতালি সংগীত শিল্পীদের সঙ্গে নৃত্যে যোগদান সোমা এই ভাবেই নিজের শিকড়ের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুনঃ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক ‘অভিযান’-এর শুটিং শুরু
তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মরণে আরও একটি একক গান “একুশের গান” প্রকাশ করেছিলেন। গানটির কথা ও সুর সংগীতশিল্পী রুপঙ্করের। সোমার কথায়- “সংগীত বিশ্বকে এক ডোরে বাঁধতে পারে, সংগীতের কোনও ধর্ম নেই, তাই গানের সুরে এই মহামারীর প্রকোপে পড়া মানুষ গুলির যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব করাই এই উদ্যোগের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584