নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদহঃ

উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে যুগ্ম ভাবে রাজ্যে নবম স্থান দখল করলো মালদার মানিকচক শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সোমা সাহা।কলা বিভাগ থেকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭।এই সাফল্যে খুশি পরিবার সহ প্রতিবেশীরা।

মা ইন্তিসা সাহা,তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে সোমা ছোট মেয়ে।সোমার জন্মের পর থেকে বাবা ও মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মানিকচক থানার মথুরাপুর অঞ্চলের ধরমুটোলা গ্রামে দাদুর বাড়িতে মাকে নিয়ে বসবাস তার।দাদু কালিপদ সাহা সামান্য একটি মুদি দোকানদার।

সেই দোকানের ওপরই নির্ভর করে দাদুর বাড়িতেই বসবাস।এদিন টিভিতে নিজের নাম শুনতে পেয়ে আপ্লুত সোমা সহ পরিজনেরা।মা ইন্তিসা দেবী সহ প্রতিবেশীরা একে একে সোমার মুখ মিষ্টি করেন।বাংলা , ইংরেজি ,ইতিহাস ,দর্শন,ভূগোল ছিলো বিষয়। ৪৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে যুগ্মভাবে নবম হয়েছে সোমা।মানিকচক শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীর সাফল্যে খুশি তার স্কুল।
আরও পড়ুনঃ আগামীতে গবেষক হওয়ায় স্বপ্ন প্রত্যয়ের
আরো একটু ভালো ফল হলে ভালো লাগতো বলে জানান কৃত ছাত্রী সোমা সাহা।তিনি বলেন,’পড়াশোনাটা ওই ভাবেই করতাম যাতে মেধা তালিকায় নাম আসে।রাজ্যে নবম হয়ে খুশি।রাতেই বেশি করে পড়াশোনা করতাম।তিনটি টিউশন ছিল।সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যথেষ্ট সহযোগিতা করতো।পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ।দাদুর একটি দোকানের ওপর নির্ভর করে গোটা পরিবার।আগামী পড়াশোনার জন্য যা খরচ প্রয়োজন সেটাই বাধা হবে আমার।’
আর্থিক সাহায্য পেলে আরো পড়াশোনা করে শীর্ষ স্থান দখলের চেষ্টা থাকবে সোমার।
মেয়ের এই সাফল্যে বেজায় খুশি মা ইন্তিসা দেবী।তিনি জানান,’মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য যায় করতে হোক আমি করবো।দুই মেয়েই ছোটো থেকেই পড়াশোনায় খুব আগ্রহী।সামান্য সেলায়ের কাজ করে যা অর্থ উপার্জন করি মেয়েদের পড়াশোনায় যোগান দিতাম।
যে মতো টিউশন শিক্ষক প্রয়োজন ছিলো তা যতটা পেরেছি করেছি।মেয়ের কিছু করে দেখানোর ইচ্ছেরই ফল এই রেজাল্ট।বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অনেক সাহায্য করেছে।মেয়েকে বলেছি তোর যা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে পড়।আমি যা করে হোক সব করবো।’ ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে সোমার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584