উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
কলকাতা পুরনিগম ভোটের আগে কলকাতায় বিজেপি পর্যবেক্ষক হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় , আর সহ-পর্যবেক্ষক হলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানালেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বয়ং।
উল্লেখ্য, দুহাজার উনিশের চোদ্দই আগস্ট তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। কিন্তু বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না একেবারেই। তাই যোগদানের পর বছর ঘুরে গেলেও সেভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপি সূত্রে খবর, একুশের বিধানসভা ভোটে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, একদা তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজ লাগাতে চাইছে দল। কিন্তু কীভাবে? এই প্রশ্ন ছিল গেরুয়াশিবিরের অন্দরে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা ছাড়া তৃণমূল গ্রামকে কোন সম্মান দেয়নি! দাঁতনে মন্তব্য শুভেন্দুর
এমনকী, শোনা গিয়েছিল, ফের নাকি তৃণমূলেই শোভন। যদিও পিকে -র আপত্তিতে আর পুরনো দলে ফিরতে পারেননি তিনি। সূত্রের খবর তেমনই। এই পরিস্থিতিতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নভেম্বরে রাজ্য সফরে এসে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। এরপরই বিজেপিতে পদ পেলেন শোভন। সঙ্গে বৈশাখীও।
আরও পড়ুনঃ সৌরভ ছাড়তে পারেন রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা
স্রেফ দাপুটে নেতাই নন, তৃণমূলে থাকাকালীন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় । দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দল ও প্রশাসনের বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার মেয়র, এমনকী, ছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার সভাপতিও। প্রথম থেকেই শোভনের দাবি ছিল, তিনি কলকাতায় কাজ করতে চান এবং তাঁকে যেন পদ দেওয়া হয়। অবশেষে সেই দাবি মেনে নিল বিজেপি। একুশের ভোটে এই সিদ্ধান্তের কি প্রভাব পড়ে, এখন সেটাই দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584