নিজস্ব প্রতিবেদন,পঃ মেদিনীপুরঃ
পত্রিকা প্রকাশ, স্মৃতিচারণ,কবিতাপাঠ, আড্ডা,গান,সম্মান জ্ঞাপন ইত্যাদির মাধ্যমে মহালয়ার আগের দিন তথা রবিবার সন্ধেতে মেদিনীপুর শহরের জ্বলদর্চি দফতরে অনুষ্ঠিত হল ১৪২৫ শারদ উৎসব। বসে ছিল চাঁদের হাট।
দুই মেদিনীপুর থেকে একযোগে জ্বলদর্চি ২৬ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে।
এ দিন উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অরুণাভ প্রহরাজ।বিশেষ ‘দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সমালোচনা’ সংখ্যা প্রকাশ করেন প্রবীণ প্রাবন্ধিক হরিপদ মণ্ডল।
হরিপদ মণ্ডলকে জানানো হয় স্মারক সম্মান।
গান পরিবেশেন করেন অনিতা সাহা,অমিতেশ চৌধুরী, প্রলয় বিশ্বাস।আদিবাসী সমাজ ও দুর্গাপুজো’ প্রসঙ্গে নানান অজানা তথ্য তুলে ধরেন প্রাবন্ধিক মধুপ দে।
স্মৃতিচারণ,কবিতাপাঠে অংশ নেন সিদ্ধার্থ সাঁতরা,সুভাষ জানা প্রমুখ।উল্লেখ্য,এবারের বিশেষ সংখ্যার বিষয় — ‘দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সমালোচনা’।সহজে মেলে না,আর যদিও বা পাওয়া যায়,প্রকাশক বদল ও নতুন সংস্করণের কারণে মূলের স্বাদ পাওয়া যায় না।পুরোনো অথচ চিরকালের এমন বইকে আজকের পাঠক সমাজের কাছে তুলে ধরার লক্ষে এবারের এই বিশেষ সংখ্যা। মানকুমারী বসুর ‘প্রিয় প্রসঙ্গ’,শ্রী রেজাউল করীমের ‘বঙ্কিমচন্দ্র ও মুসলমান সমাজ’,ক্ষেত্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অভয়ের কথা ঠাকুরাণীর কথা’ ইত্যাদি দুষ্প্রাপ্য বইয়ের আলোচনা করেছেন সুতপা ভট্টাচার্য, মীরাতুন নাহার,প্রভাত মিশ্র প্রমুখ।ছবি এঁকেছেন শুভাপ্রসন্ন,অনুপ রায়,ওয়াসিম কাপুর,রবীন দত্ত প্রমুখ।প্রচ্ছদ এঁকেছেন দেবাশিস রায়।
উৎসব১৪২৫ সংখ্যায় স্থান পেয়েছে অরুণ মিত্র,গোপাল হালদার মণীন্দ্রকুমার ঘোষ প্রমুখ প্রখ্যাত ব্যক্তিদের অপ্রকাশিত চিঠি।এছাড়া গদ্যে পদ্যে সমরেশ মজুমদার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো স্বনামখ্যাত ব্যক্তিদের পাশে স্থান পেয়েছে বহু তরুণের লেখা।
রয়েছে চিত্র,ফোটোগ্রাফি। সুন্দর ব্যঞ্জনাবহ প্রচ্ছদ এঁকেছেন শোভন পাত্র।
জ্বলদর্চির সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী জানান, একমাত্র সুস্থ সাহিত্য ও সংস্কৃতিই আমাদের রক্ষা করতে পারে যাবতীয় অধর্মের হাত থেকে।
আরও পড়ুন: মহালয়া উপলক্ষে পুজো কমিটির প্রভাত ফেরি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584