সবচেয়ে বিপজ্জনক তিন জেলার দৈনিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিশেষ নজরদারি দল

0
113

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

রাজ্যের করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়তেই রাজ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে তিন জেলার পরিস্থিতি। প্রশাসনের হিসেব বলছে, রাজ্যে কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা রোগীর সংখ্যা হলেও কলকাতা ছাড়া বাকি দুটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কম। তুলনায় কলকাতা, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার বাড়ায় বেড়েছে কনটেনমেন্ট জোন। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই ৩ জেলাতেই দৈনিক পর্যবেক্ষণে কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে পরিদর্শনে নামছে তৈরি বিশেষ নজরদারি টিম।

corona test | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

এর আগে কলকাতা ও পাশ্ববর্তী ৫ করোনা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা খতিয়ে দেখছে বিশেষ ৫ পরিদর্শক দল নামিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার করোনা সংক্রমণের গতি বৃদ্ধিতে জেলাভিত্তিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে এই তিন জেলাকে নির্বাচন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই তিন জেলা অর্থাৎ কলকাতা, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কনটেনমেন্ট জোনে নজরদারি, সংক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। এরপরেই ৪ জন করে কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষকদের নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করে তাদের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

আরও পড়ুনঃ আগামীকাল জেলা প্রশাসন-স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক মমতার

কারা কারা থাকছেন এই বিশেষ নজরদারি দলে? জানা গিয়েছে, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ , ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের ৪ জন করে চিকিৎসককে নিয়ে এই বিশেষ নজরদারি তিনটি দল তৈরি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলিতে ওই বিশেষ টিম তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং কিভাবে সেখানে সংক্রমণ আটকানো যায় সেই বিষয়ে প্ল্যান করে স্বাস্থ্য ভবনকে তারা প্রত্যেক দিন জানাবেন। কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি এই নজরদারি দল বিশেষ কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে সমীক্ষা চালাবে।

সংশ্লিষ্ট জেলার কোথায় কোথায় কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে, সেই কনটেনমেন্ট জোনকে কিভাবে রক্ষা করা হবে, সেখানে কারা কারা আক্রান্ত হতে পারেন, কারা কারা আক্রান্ত হয়েছেন, কিভাবে পরীক্ষা করা উচিত, কতজন আক্রান্ত তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা হবে। সেই জেলার কনটেনমেন্ট এলাকায় কি কি করা উচিত এবং কি কি তথ্য রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রতিদিন সন্ধে ছ’টার মধ্যে স্বাস্থ্য ভবনকে জানাবে ওই দল। সেই অনুযায়ী ওই জেলাতে পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক করবে স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিকল্পনা কাজে এলে অন্যান্য জেলাগুলিতে সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হবে বলে সূত্রের খবর।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here