নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হয়েছিল ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোন এবং বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে। এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ল্যাবরেটরিতে করা ডিজিট্যাল ফরেনসিক পরীক্ষায়। বিশিষ্ট সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’ -এর একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শুধু ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরই নন, তালিকায় রয়েছে পিকে ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নাম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সহকারীর নামও। এমনকি নিশানা করা হয়েছে রাহুল গান্ধী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকেও।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে ৩০০র বেশি ফোনে মোদী সরকার এই ভাবে আড়ি পাতার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট’ নামে এক তদন্ত রিপোর্টে। তবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপরে সরকারি নজরদারির অভিযোগ ভিত্তিহীন, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সরকারের তরফে। যে কোনও ফোনে আড়ি পাতা, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে নজরদারিতে সরকারি অনুমতি থাকে। আইন মেনেই ফোনে আড়ি পাতা হয়।
আরও পড়ুনঃ দেখা নেই বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের, ‘সন্ধান চাই’ পোস্টারের পর এবার ব্যানার
‘দ্য ওয়্যার’-এর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তালিকায় রয়েছে মোদী সরকারেরই দুই ‘বেসুরো’ মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল ও অশ্বিনী বৈষ্ণব-এর নামও। বিরোধী শিবিরের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছাড়াও সাংবিধানিক পদে আসীন এক ব্যক্তির নাম। সেই সঙ্গে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, অনেক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি রয়েছেন। নজরদারির অভিযোগ উঠেছে অনেক সমাজকর্মী, সরকারি আমলা ও আইনজীবীর ফোনেও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল রাজ্য রাজনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584