নবনীতা দত্তগুপ্ত,বিনোদন ডেস্কঃ
সম্প্রতি একটি খবর রটেছে নেট দুনিয়ায়। ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের ভিলেন রাধারানী থুড়ি শ্রীময়ী চট্টরাজ নাকি প্রেম করছেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সাথে। খবরে একপ্রকার ‘থ’ হয়ে গেছেন অভিনেত্রী। তীব্র সমালোচনা করেছেন রঙ চড়িয়ে মিথ্যে রটনা সম্বল করে ইউটিউব ভিউজ, সাবস্ক্রাইবার কিংবা পেজ বা পোর্টালের ভিউজ বা রিচ বানানো প্রক্রিয়ার।
অভিনেত্রীকে নিউজ ফ্রন্টের দরবারে ইন্টারভিউয়ের জন্য আমন্ত্রণ করার কারণে ফোন করা হয়। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে সেই বিষয়ও। অভিনেত্রী বলেন- “অভিনয় করি বলে কি মান সম্মান নেই আমাদের? ঘর সংসার, পরিজন নেই? যা খুশি মন গড়িয়ে লিখলেই হল? আসলে অভিনেতাদের নিয়ে যা খুশি তাই লিখে তাকে মুচমুচে বানিয়ে পেজ-এ ছেড়ে দিলেই বাজিমাত। সাবস্ক্রাইব তরতরিয়ে বাড়বে। পেজের রিচ (Reach) বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ শুটিঙে বিভ্রাট, হাজিরা নেই অধিকাংশ টেকনিশিয়ানের
কাঞ্চন দা’কে আজ থেকে চিনি না। আজ যদি কাঞ্চন দা’র সঙ্গে সত্যিই কোনও সম্পর্ক তৈরি হয় তা নিয়ে লুকোচুরি করব কেন? আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ৷ বিবাহিত বা অবিবাহিত যে কারো সঙ্গেই আমার প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে। লুকনোর কিছু নেই। আমার কথা হল, এমন লেখা লেখার আগে বা বলার আগে একবার তো জিজ্ঞেস করা দরকার ছিল। ‘শোনা যাচ্ছে’, ‘জানা গিয়েছে’ এগুলো কী কথা? কোথা থেকে শোনা গেছে বা জানা গেছে জানা দরকার তো। কাঞ্চন দা’র বউ পিঙ্কি দি আমাকে চেনে। ওদের একটা ফুটফুটে ছেলে আছে। কী সুন্দর সংসার ওদের। ওদের পরিবারের সঙ্গে আমার খুব ভাব। এহেন কথাবার্তা কোনও মানুষের মনে কী পরিমাণ চাপ সৃষ্টি করতে পারে সেটা আগে ভাবা উচিত লিখিয়েদের।
আরও পড়ুনঃ অর্জুন দত্ত পরিচালিত ‘গুলদাস্তা’ আসছে ওটিটি-তে
পাশাপাশি, আমি উত্তর কলকাতার মেয়ে। এই মিথ্যে রটনাটা চারদিকে ছড়িয়ে গেছে। আর তারপর থেকেই ফোন আসছে আমার কাছে। কত লোকে কত কী লিখছে। এগুলো মানুষকে কতখানি বিব্রত করে তা তিনি জানেন না বোধহয়।”
কাঞ্চন মল্লিক প্রসঙ্গে শ্রীময়ী বলেন- “কাঞ্চন মল্লিক একজন দামী অভিনেতা। তার উপর তিনি বিধায়ক। তাঁর নামে এমন কথা বলার আগে একবারও ভাবলেন না সেই সাংবাদিক।” ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের সময়ে কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে ভোটের প্রচারে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। ত্রাণ বিলি করতেও দেখা গেছে। তা বলে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আছে এমনটা লেখার আগে একবার জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল বলে দাবি শ্রীময়ীর।
আরও পড়ুনঃ ‘বিশ্ববীণা’র দ্বিতীয় সুরেলা সফরে অদিতি গুপ্ত ও জয়তী চক্রবর্তী
তিনি বলেন- “অনেক মানুষের সঙ্গে আমার কাজের সূত্রে আলাপ। তাদের সঙ্গে আমি ছবিও শেয়ার করি। তা হলে তাদের সঙ্গেও আমার সম্পর্ক আছে? আজ আমার দাদা বা বাবা অল্পবয়স্ক, সুপুরুষ হলে কোনদিন শুনব তাঁদের সঙ্গেও ‘বিশেষ সম্পর্ক’ আছে আমার!”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584