শ্যামল রায়,কালনাঃ
দীর্ঘদিন ধরে কালনা এবং শান্তিপুরের বাসিন্দাদের দাবি ছিল গঙ্গার উপর একটি সেতু নির্মাণের।সেই দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সীলমোহর দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
সোমবার কালনা ২ নম্বর ব্লক অফিসে গঙ্গার উপর সেতু নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে একটি ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। সেই ম্যাপ নিয়ে ইঞ্জিনিয়াররা আলোচনা করেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মিলনদেব ঘড়িয়া সাথে এবং উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজনীতিবিদ প্রণব রায় সহ অনেকে।
জানা গিয়েছে যে গঙ্গার উপর সেতু নির্মাণের জন্য জমিদাতারা জমি দিতে আগ্রহী এবং সরকার নির্ধারিত মূল্য তাঁরা পাচ্ছেন।
ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মিলনদেব ঘড়িয়া জানিয়েছেন যে, জমি দাতারা লাভবান হবেন এবং জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সমস্ত পরিবার জমি দিতে আগ্রহী এবং তার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে আশা করছি খুব দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
জানা গিয়েছে যে একদিকে নদিয়া অন্যদিকে বর্ধমান জেলা।কালনা ফেরিঘাট ওপারে রয়েছে শান্তিপুর নৃসিংহদেবপুর।কালনা ও নৃসিংহদেবপুর ফেরিঘাটসংলগ্ন গঙ্গার উপরে তৈরি হবে একটি সেতু।এই সেতু তৈরি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে যাবে। সরাসরি শিয়ালদহ রেল স্টেশন এর সাথে দক্ষিণবঙ্গের
যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটাই সরলীকরণ হবে।একদিকে যেমন নদীয়ার বহু মানুষ বর্ধমানের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ করে থাকেন অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের লোক উত্তরবঙ্গের সাথে যোগাযোগ করা আর একটা প্রধান কাজ করবে এই সেতুটি।
আরো জানা গিয়েছে যে রাজ্য সরকার ৫০০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করলেও খরচ হবে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা।
বিশিষ্ট সমাজসেবী তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি প্রণব রায় জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই এই সেতু তৈরির পর যে রাস্তাটি তৈরি হবে তার জন্য জমি অধিগ্রহণের আওতার মধ্যে পড়েছেন ৩৬ টি পরিবার।সকলেই জমি দিতে আগ্রহী এবং প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।প্রণব রায় বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগ্রহ এবং তৎপরতায় দীর্ঘদিনের দাবি আজ বাস্তবায়নের পথে।এক সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে জমি অধিগ্রহণে সমস্যা হলে সেতু হবে না কিন্তু এলাকার মানুষ উন্নয়নের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে উন্নয়নের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সেতু নির্মাণের জন্য জমি দিতে ভীষণভাবে আগ্রহী এবং সেই কাজটি সহজে রূপায়ণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এবং মাপ ঝোকের কাজও প্রায় শুরুর পথে।
কালনা শহর মূলত মঠ-মন্দির বিশিষ্ট একটি পর্যটন কেন্দ্র। অন্যদিকে শান্তিপুর শহর ও প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান।তাই একদিকে নদীয়া জেলা অন্যদিকে বর্ধমান দুই জেলার সংযোগ হিসাবে এই সেতুটি কাজ করবে।একদিকে রেলপথ রয়েছে অন্যদিকে সড়ক যোগাযোগের আমূল পরিবর্তন ঘটে যাবে সেতুটি নির্মাণ হলে। কালনা ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে সেতুটি তৈরি হলে আমাদের যাতায়াতের অনেক সুবিধা হবে দ্রুত এই পথেই শিয়ালদহ সাথে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজ হবে এবং অন্যদিকে নদীয়া জেলার বহু মানুষ বর্ধমান এবং পুরুলিয়া বাঁকুড়া সাথে যোগাযোগের নতুন মাত্রা খুলে যাবে।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা সেতুটির কাজ শুরু হতে।
আরও পড়ুনঃ উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের দাবি হকারদের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584