সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

মান্না দে গাইতেন, ‘এই কূলে আমি আর ঐ কূলে তুমি /মাঝখানে নদী ঐ বয়ে চলে যায়।’ একদিকে দুর্গাপুর অন্যদিকে বাঁকুড়া।মাঝে দুর্গাপুর ব্যারেজ।দীর্ঘদিন থেকে মানুষের দাবি ছিল দুর্গাপুর ব্যারেজের পাশে নতুন একটি সেতু তৈরি করা হোক। দীর্ঘ টালবাহানার পর পুরনো ব্রিজের উপর যানবাহনের চাপ কমাতেই শুরু হলো নতুন সেতুর কাজ।দামোদর নদীর উপর দুর্গাপুর ব্যারেজের পুরনো সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার।স্থানীয় মানুষরা বলছেন,এই সেতুর ওপর যথেষ্ট চাপ থাকে কারণ বর্ধমান এবং বাঁকুড়া যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সেতু এটি। এমনিতেই অতিরিক্ত চাপ নেওয়ার ফলে ব্রিজ ক্রমশ আগের থেকে কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে।তার ওপর লকগেট ভেঙে গিয়ে ব্যাপক বিপত্তির মুখে পড়তে হয়েছিল সেচ দপ্তরকে।তাই নতুন সেতু তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।সেতু তৈরীর কাজ শেষ হলে নতুন সেতুতেও লকগেট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেচ দফতরের।লকগেট ভাঙার পরবর্তীকালে তৎকালীন সেচমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শন করতে এসে ঘোষণা করেছিলেন এই কথা কিন্তু নতুন লকগেট বসিয়ে লাভই বা কি হবে? তার উত্তরে জানা যাচ্ছে, এর ফলে ব্যারেজের জল ধরনের ক্ষমতা বাড়বে।পুরনো লকগেটগুলিকে সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাওয়া যাবে।তাছাড়া প্রতিবছর রিভার বেডে যে পলি জমে সেই পলি দামোদরের নব্যতা অনেকটা বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে যদি তা উপযুক্ত সময়ে তুলে ফেলা যায়।নতুন লকগেট হলে পলি তোলার যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ পৌঁছলো বাংলাদেশ থেকে আগত তীর্থযাত্রীবাহি বিশেষ ট্রেন
দুর্গাপুরের বাসিন্দা আশীষ হালদার বলেন, ‘গত বছর যেভাবে লকগেট ভেঙে ছিল তাতে গোটা দুর্গাপুরে জলের সংকট পড়ে ছিল।তখনই অনুভূত হয়েছিল নতুন লকগেট তৈরি করার। তাছাড়া এইভাবে লকগেট ভেঙে গেলে তার প্রভাব পড়বে কৃষিকাজেও।তাই নতুন সেতু এবং নতুন লকগেট খুব তাড়াতাড়ি চালু করা দরকার।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584