শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
আর কিছু দিন পরেই কলকাতা পুরভোট। ইতিমধ্যে পুরো কলকাতা ভোটের আমেজে মেতে উঠেছে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তারা ইতিমধ্যে অভিযোগ এনেছে ভোট রিগিং-এর। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করতে হবে, কারণ তাদের বক্তব্য ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্যে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট নয়। তারা ১৪৪ টি পুর ওয়ার্ডের জন্য ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন। কিন্তু শাসকদল তাদের সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে পুরভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছে।
গতকাল কলকাতা পুরভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বা নথি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠাল লালবাজার। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আজ মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। গতকাল সোমবার রাজ্যপাল এক টুইট বার্তায় ভোটের নিরাপত্তা তুলে বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে কি ভাবছেন, তা মঙ্গলবার জানাতে হবে।”
সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ৭ ই ডিসেম্বর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রধান সৌরভ দাস তাঁকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেবেন। পাশাপাশি তিনি টুইটে আর একটি বিষয় স্পষ্ট করেন তা হল, সিএপিএফ নিয়োগ করে ভোট করার পক্ষে তিনি। সেই মোতাবেক আজ রাজ্যপাল ভবনে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
State Election Commissioner @MamataOfficial Shri Saurav Das will update Governor Shri Jagdeep Dhankhar on December 07 at Raj Bhawan on issues #KMC elections preparedness and deployment #CAPF
Governor had indicated SEC constitutionally mandated to ensure free and fair elections.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 6, 2021
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে বিজেপির নেতা-নেত্রীরা ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সওয়াল করছেন। অন্যদিকে রাজ্য সরকার ভরসা রাখছেন কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের উপর।
আরও পড়ুনঃ বাংলার মানুষের কথা ভেবে মুম্বাইয়ে ‘বঙ্গভবন’ তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর
আজ মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে ট্রাফিক সচেতনতা মূলক এক অনুষ্ঠানের উদ্ধোধনে গিয়ে নগরপাল সৌমেন মিত্র বলেন, ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে যে সমস্ত প্রস্তাব রাখা দরকার তা ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে ভোট করানোর জন্যে কলকাতা পুলিশের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে। নিরাপত্তায় যেন কোন প্রকার ঘাটতি না হয়, তার জন্য কলকাতা পুলিশের সাথে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তবে ঠিক কতজন করে বুথ প্রতি রাজ্য পুলিশ থাকবে, তাঁর অনুমোদন দেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ কোভিডে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে বাংলা, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান
এছাড়াও তিনি বলেন, “নিরাপত্তার সহিত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করার জন্য ‘ফোর্স ডিপ্লোয়মেন্ট’ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্দেশ দেবে সেইভাবেই বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করা হবে।” পাশাপাশি বিরোধীদের দাবিকে খন্ডন করে বলেন, “সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করার জন্যে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যে পুলিশ বদ্ধপরিকর এবং ভোটদান পর্ব কোনরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই ঘটবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584