প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ
করোনা ভাইরাসের জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকাকালীন পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে আলু ও চাল বন্টনের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই নির্দেশ পৌঁছানোর পর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরের তরফে যেসমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে মিড ডে মিল সরবরাহ করা হয় সেখানে তা কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি পড়ুয়ার অভিভাবককে দুই কেজি চাল এবং দুই কেজি আলু দিতে হবে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার এবং রবিবার দুইদিন অভিভাবক এবং অভিভাবিকাদের বাড়িতে খবর পাঠাতে হবে। এই দুই দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শিক্ষকরা স্কুলের রেজিস্টারে থাকা ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।
তবে অনেক ফোন অকেজো হয়ে যাওয়ার ফলে ফোন করে কোনভাবেই অভিভাবকদের এই কর্মসূচির কথা জানানো যাচ্ছে না। পাশাপাশি দূর-দূরান্তের জায়গা থেকে অনেক পড়ুয়ারা বিদ্যালয় আসে।তাদের খবর দেওয়ার ক্ষেত্রেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা চরম সমস্যায়। কিছু স্কুলের প্রাথমিক স্কুলের সামনে এবিষয়ে ব্যানার টাঙিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হবে আলু এবং চাল। তবে এক্ষেত্রে যাতে বিদ্যালয়ে বেশি জমায়েত না হয় সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের নজর রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সে নামলো বৃষ্টি
আর তাই একদিন নয় বরং দুদিন ধরে প্রয়োজনে তা সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি চাল এবং আলু বন্টনের সময় বিদ্যালয়ে যেন হ্যান্ডওয়াশ রাখা হয় সে বিষয়েও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে এই অর্ডার চলে আসায় সরকারিভাবে আলু বরাদ্দ না হওয়ায় শিক্ষকদেরকে আলু কিনতে হচ্ছে বাজার থেকে।
একদিকে যখন মিড ডে মিল চালাতে গিয়ে শিক্ষকদের পকেট থেকে বিল পেমেন্ট করতে হচ্ছে অপরদিকে মার্চ মাসের শেষের দিকে এই অর্ডার আসায় পকেটে টান পড়েছে শিক্ষকদের। এক মাস কিংবা দুমাস পরে তারা সেই অর্থ পাবেন। সেই চাপের পাশাপাশি এই আলু কিনতে গিয়ে অনেক শিক্ষকই আর্থিকভাবে সমস্যার মুখোমুখি। এত বিপুল পরিমাণে আলু অনেক দোকানদারই বকেয়া দিতে চাইছেন না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584