নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
মেদিনীপুর শহরে স্থাপিত হল অগ্নিযুগের দুই তরুন বিপ্লবীর আবক্ষ মূর্ত্তি।পরাধীন ভারতে ইংরেজদের অত্যাচার যখন চরমসীমায় তখন মেদিনীপুরের ৩ জেলাশাসক মিঃ বার্জ, মিঃ পেডি এবং মিঃ ডগলাসকে গুলি করে হত্যা করেন মেদিনীপুরের স্বদেশীরা। ১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজের দিনে মেদিনীপুরের পুলিশ লাইনের খেলার মাঠে পাহাড়িপুর ও সুজাগঞ্জের দুই তরুন বিপ্লবী অনাথ পাঁজা ও মৃগেন দত্ত অত্যাচারী জেলাশাসক মিঃ বার্জকে গুলি করে হত্যা করেন।তারপরই ইংরেজ দেহরক্ষীর গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শহিদ হন তাঁরা। ১৯৩৩ সালের আজকের দিনটির স্মরনে ওই দুই শহীদ বিপ্লবীর আবক্ষ মূর্ত্তি স্থাপন করা হয়।
শহিদ অনাথ পাঁজার মূর্ত্তি এবং মৃগেন দত্তের মূর্ত্তিটি উন্মোচন করেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। এই উপলক্ষে এদিন এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। পুরুষ এবং মহিলা মিলে শতাধিক মানুষ রক্তদান করেন।উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি,রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী অমরত্যানন্দজী মহারাজ,বিধায়ক দীনেন রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এলাকার কাউন্সিলর সৌমেন খান।এই অনুষ্ঠানে এসে কংগ্রেসের সাংসদ প্রদীপ বাবু বলেন
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়েছে সারা রাজ্য । তৃণমূল বিজেপি সংঘাতটাই বারবার প্রকট হয়ে উঠেছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া লড়াই কংগ্রেসও করে তবে যে লড়াইয়ে ভাই ভাই খুনোখুনি কিংবা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ থাকে না সে লড়াই কংগ্রেস করে না।রবিবার মেদিনীপুর শহরের পাল বাড়ির মাঠ চত্বরে শহীদ অনাথ পাঁজা ও শহীদ মৃগেন দত্তের মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শহরে আসেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন,এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বর্ষীয়ান এ কংগ্রেস নেতার দাবি এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্তরে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তবে যা সিদ্ধান্ত হবে তা রাজ্যের কংগ্রেসের অবস্থানের কথা ভেবেই হবে।
আরো পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে ল্যান্ডমাইন উদ্ধার সিআরপিএফের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584