নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর দিনাজপুরঃ
বৃহস্পতিবার তৃনমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে চিকিৎসা চলাকালীন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু ঘটনায় আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া এলাকায় সহ ঘিরনিগা, লক্ষীপুর ও লালবাজার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিল কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি। এই বনধের ফলে এলাকায় সমস্ত দোকানপাট ও যানবাহন বন্ধ থাকায় জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। এলাকার রাস্তা ঘাট প্রায় শুনশান। ভয়ে আতঙ্কে এলাকার মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে গোটা এলাকা।
এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ২৩ তারিখ রাতে চোপড়ার দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের চোপড়ামারি এলাকায় এক তৃনমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায় কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা। গতকাল চোপড়া থানার পুলিশ চোপড়ামারি গ্রামে ঘটনার তদন্তে গেলে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা গুলি নিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা গুলি চালায় বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয় দুই কংগ্রেস কর্মী সমিরুল ইসলাম ও অরিফুল ইসলাম । পুলিশ গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে। দুই দলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ওই দুজন। আহত দুজনকে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় সমিরুল ইসলামের । এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
শাসকদলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আজ চোপড়া থানার দাসপাড়া এলাকাসহ ঘিরনিগাও, লক্ষীপুর ও লালবাজার বনধের ডাক দিয়েছে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল। বনধের জেরে কার্যত জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। এলাকায় আতঙ্কে মানুষজন ঘর থেকে রেব হতে না পারায় কার্যত গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছে গোটা এলাকা। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে এলাকায়। চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584