মনিরুল হক, কোচবিহারঃ ছাত্র নেতার হত্যার প্রতিবাদে কোচবিহার শহর জুড়ে পালিত হচ্ছে সাধারণ ধর্মঘট। শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে শুরু হয়েছে ওই ধর্মঘট। এদিন বনধ সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় টায়ার ফেলে পিকেটিং শুরু করেছে। ফলে সরকারী বেসরকারি যান বাহন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শহরে ঢোকার মুখে চাকির মোড় বাবুরহাট, খাগড়াবাড়ি এলাকায় যানবাহন লম্বা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে।
কোচবিহারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মাজিদ আনসারির খুনের প্রতিবাদে ডাকা কোচবিহার শহর বনধ কার্যত সফল৷ সকাল থেকেই কোচবিহার শহরের দোকান বাজার, বেসরকারি বাস সবই ছিল বন্ধ। সকালে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার টার্মিনাসের গেট বন্ধ করে দেন বনধ সমর্থকরা৷ পরে অবশ্য পুলিশের সহায়তায় সরকারি বাস চালু হয়। বনধের প্রভাব পড়েছে কোচবিহার আদালতেও৷ ডান, বাম সকল আইনজীবীরাই এই বনধে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন৷ ফলে আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম এদিন অনেকটাই ব্যহত৷ পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে শুক্রবার বিভিন্ন পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে৷
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, অফিস আদালত বন্ধ করতেও আন্দোলন কারিরা জমায়েত হতে পারে কোচবিহার সাগার দিঘি চত্বরে। এদিকে এই বন্ধকে ঘিরে যাতে কোন রকম অশান্তি না ছড়ায় এজন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুলাই কোচবিহার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদ আনসারি গুলিবিদ্ধ হন। তিনি শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় কোচবিহারে। তাঁর মৃতদেহ নিয়ে কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের দফতের সামনে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র-ছাত্রীরা। এনিয়ে সরগরম ছিল কোচবিহার৷ বৃহস্পতিবার রাস্তা অবরোধ, বনধ পালন, মাজিদের এক সহপাঠীর হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টার মতো ঘটনাও ঘটে৷ এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার হয় মুন্না৷ এদিনও একই দাবিতে বনধ ডাকেন ছাত্র-ছাত্রীরা বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584