কোচবিহার বিমানবন্দর চত্বরে নিরাপত্তা কর্মীদের অনশন

0
48

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

ওয়াক ইন ইন্টারভিউ দিয়ে নিয়োগ সরকারী প্রতিষ্ঠানে, অথচ দুই মাস কাজ করার পরেও মিলল না বেতন। মরার উপরে খাঁড়ার ঘায়ের মতো পুজোর মুখে খোয়াতে হচ্ছে নিজেদের কাজও।

এই অবস্থায় অসহায় হয়ে পরেছে কোচবিহার বিমান বন্দরের জন্য নিয়োগ হওয়া ১৭ জন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী। ইতিমধ্যেই কোচবিহার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে তাঁদের জানিয়ে দেয় তাঁদের কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ করে ওই কর্মীরা কর্মচ্যুত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

strike of security guard of Airports | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

পুজোর মুখে কাজ খুইয়ে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের বকেয়া মিটিয়ে কাজে বহাল করার দাবি নিয়ে বিমানবন্দরের মূল ফটকে অনশন শুরু করেছে তাঁরা।

এদিন আন্দোলনকারীদের পক্ষে ভজন দে এবং রামপ্রসাদ সরকার অভিযোগ করে বলেন, সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন দেখে আমরা আমাদের বায়োডাটা জমা দিই।

এরপরই সমস্ত নথি যাচাই করে আমাদের নিয়োগ করা হয়, কিন্তু কাজের ২ মাস হয়ে গেলেও আমরা এখনও কোনও বেতন পাইনি। পাশাপাশি তাঁরা এও বলেন, গতকাল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই কাজে তাঁদের আর প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুনঃ পুজো বোনাস ছুটির দাবিতে আশা কর্মীদের ডেপুটেশন

গত ২৭ জুলাই কোচবিহার বিমান বন্দর থেকে নিয়মিত বিমান চালানোর কথা ঘোষণা করেন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশীথ প্রাথামিক।

ওই দিন তিনি একটি ছোট বিমানে করে কোচবিহার বিমান বন্দরে নামেন। সাংসদের এই ঘোষণার পরই রাতারাতি বিমান বন্দর থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের তুলে নেয় রাজ্য সরকার বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর বিমান বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় ১৭ জন বেসরকারি কর্মীকে নিয়োগ করা হয়। যদিও সেই সময় তাদেরত কোন নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে কোচবিহার বিমান বন্দরের আধিকারিক বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ওই নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ করেছিল একটি কোম্পানি। চুক্তি অনুযায়ী ওই কোম্পানি কর্মীদের পারিশ্রমিক মেটাবেন। এছাড়াও তিনি জানান ওই নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছিল দু’মাসের জন্য। এই নিয়োগের সাথে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কোন সম্পর্ক নেই।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here