শ্যামল রায়,কালনাঃ
রাতের অন্ধকারে কালনা শান্তিপুর ফেরিঘাটে গঙ্গাচড়ায় একটি যাত্রী বোঝাই ভেসেল আটকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।ভেসেলে ছিল দুটি ট্রাক ও শিশু ও মহিলাসহ কয়েকজন যাত্রী।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত দশটা নাগাদ।প্রায় তিন ঘন্টা পর আটকে পড়া থেকে ভেসেল থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ ও কালনা থানার পুলিশ।জানা গিয়েছে যে রাত প্রায় একটা নাগাদ আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।ভেসেল থেকে একটি নৌকায় করে যাত্রীদের ধীরে ধীরে উদ্ধার করে তুলে আনা হয়।তবে গঙ্গাবক্ষে ভেসেল আটকে পড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন মহিলা শিশুসহ অনান্য যাত্রীরা।এদিন রাত দশটা নাগাদ শান্তিপুরের নৃসিংহদেবপুর ফেরিঘাট থেকে দুটি ট্রাক ও শিশু মহিলাসহ কয়েকজন জন যাত্রী নিয়ে কালনায় আসার জন্য ভেসেলে চাপে।
ভেসেলটি ফেরিঘাট থেকে ছাড়ার পর মাঝ গঙ্গায় এসে আটকে যায়।কোন ভাবেই ভেসেলটিকে উদ্ধার করা যায় না।আটকে পড়া যাত্রীরা তাদের আত্মীয় পরিজনদের কাছে মোবাইল মারফত খবরটি জানানোর চেষ্টা করে।শেষমেষ খবর যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ এবং কালনা থানা পুলিশের কাছে। যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা বাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।নৌকো নিয়ে এসে যাত্রীদের উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।ধীরে ধীরে আটকে পড়া যাত্রীদের একটি নৌকায় করে কালনা ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়। যাত্রীদের আরো অভিযোগ আমরা দীর্ঘক্ষন আটকে পড়ে থাকলেও পুলিশের তরফ থেকে উদ্ধার কার্যে অনেক দেরি হয়ে যায়।এই ব্যাপারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আটকে পড়া যাত্রী থেকে শুরু করে শান্তিপুর ও কালনার বাসিন্দারা।প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে ২০১৬ সালে কালনা শহরে অনুষ্ঠিত ভবপাগলার উৎসবে এসে বাড়ি ফেরার পথে এক নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকা ডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয় ২২জনের।
নৌকা ডুবির ঘটনা ঘিরে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়।এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিরা।পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে অনেক নির্দেশ এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নজরদারি বাড়ানো হয় কালনা ফেরিঘাটে। কিন্তু শনিবারের ঘটনায় নজরদারি ঢিলেমি ছিল বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
রবিবার সকালে জানা গিয়েছে যে গঙ্গাবক্ষে আটকে থাকা ভেসেলটি উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যে বিপর্যয় কমিটির লোকজন ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
রবিবার বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে যে আটকে পরেছিল মাঝ গঙ্গায় প্রচুর পরিমাণে কচুরি থাকার কারণে। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে ভেসেলের চালক রাতের অন্ধকারে তাহলে কি দেখতে পাননি কোথায় কি অব্যবস্থাপনা রয়েছে?
এর থেকে তো অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে শঙ্কিত যাত্রীসাধারণ।
কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ জানিয়েছেন যে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব যদি গাফিলতি থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেবো। শান্তিপুর থানার পুলিশ ও কালনা থানার পুলিশ যৌথভাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584