পাঠকের মতামত-“আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আন্দোলন ও পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর ভূমিকা”-ফারুক আহমেদ।
ত্বহা সিদ্দিকী মুসলমানদের কল্যাণ চান তাহলে ওবিসি “এ” যোগ্য ও পাশ করা ছেলে মেয়েরা চাকরি থেকে বাদ পড়ছে তার জন্য তিনি তো পথে নেমে কোনও আন্দোলন করছেন না।
সর্বত সংখ্যালঘুরা চাকরি থেকে বাদ পড়ছে। দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে বেকারদের মনে, তখন হুজুর এর প্রতিকারে কী পদক্ষেপ নিলেন?
ছাত্রদের যে ভাবে পুলিশ পিটিয়েছে তার নিন্দার ভাষা নেই। ছাত্রদের জেল- এটাও মানা যায় না।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আন্দোলন ও পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পীরজাদা আলহাজ্ব ত্বহা সিদ্দিকী কেন এতো ক্ষিপ্ত প্রফেসর আবু তালেব খান এর প্রতি তার কারণ তুলে ধরতে এই লেখার সূত্রপাত।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা শব্দ যোগের ব্যাপারে ত্বহা সিদ্দিকী সহ আরও দুজনকে কমিটি করে দিয়েছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বছরের পর বছর শেষ হলেও সেই কমিটির রিপোর্ট বিশ বাঁও জলে। রিপোর্ট জমা পড়েছে কি কেউ জানে? আর পীরজাদা আলহাজ্ব ত্বহা সিদ্দিকী কেন এবিষয় নিয়ে এতদিন রাস্তায় নামেননি প্রশ্ন তোলাই যায়। এত দরদ যখন মাদ্রাসা গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না কেন সেই দিকটা নিয়ে তিনি কিছু করছেন না কেন ?-এই প্রশ্নও এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।
এর আগেও ইসলামী শিক্ষার আঁতুর ঘর আলিয়াতে নবীনবরণের নামে ছাত্রছাত্রী ডিজে সহ উদ্দাম নাচের আসর বসিয়ে আলিয়া সহ মুসলিম ভাবাবেগকে কালিমাপ্ত করেছিল সেদিন হুজুর ঘুমিয়ে ছিলেন না কী? আর এর জন্য কি সুরেশ কুমার ও উপাচার্য দায়ী ছিলেন -সত্য বড় বিচিত্র।
দুঃখের বিষয় ত্বহা সাহেবকে তখন প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি বড় বেদনা এখানেই।
এর আগেও নিউটাউনের অফিসে কিছু ছাত্র মদ খেয়ে উপাচার্যের ঘরে প্রবেশ করে তাঁর চেয়ারে লাথি মারতেও উদ্যোগী হয়। যারা কিনা আলিয়ার সম্পত্তিও ভাঙচুর করেছিল। আর এই ঘটনায় আলিয়া সহ মুসলিম সমাজের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল তখন ত্বহা সাহেবের পাত্তা পাওয়া যায়নি কেন।
আর এখন তিনি আগের কিছু দোষী ছাত্র সহ বর্তমান ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে কি বার্তা দিতে চাইছেন ?
দিনের পর দিন ছাত্র আন্দোলনের নামে আলিয়ার পরিবেশ সহ পঠনপাঠন বন্ধ করে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জীবন ও সময় নষ্ট করেছে অথচ ত্বহা সাহেব চুপ ছিলেন কেন ? এর জবাব চাইছে অবিভাবকগণ।
নতুন ১১ টি কামিল মাদ্রাসাগুলিকে ৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করেছে সরকার।
কামিল বিভাগের বিল্ডিং করার জন্য যেমন বনগাঁ সিনিয়র মাদ্রাসা সাতুলিয়া, সিনিয়র মাদ্রসা, বলদেপোতা সিনিয়র মাদ্রসা, এটা একটা ইতিহাস স্বাধীনতার পরে ইসলামিক থিওলজী বিভাগের উন্নয়নের প্রচেষ্টা যা সকলকেই মুগ্ধ করেছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আর সখ্যালঘু সচিব সুরেশ কুমার ও প্রফেসর আবু তালেব খানের কৃতিত্ব।
যা কোনও হুজুর সাহেবরা করতে পারেনি এর আগে মনে রাখতে হবে। সখ্যালঘুদের কল্যাণে অনেকেই অনেক কথা বলেন- বাস্তবিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করার প্রয়াস নিয়েছেন মাত্র। এটা ভুললে চলবে না। প্রকৃত অর্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া মুসলমাদেরকে এ রাজ্যে কোনও সরকার এত মর্যাদা দেয়নি। তবে চাকরির ক্ষেত্রে ও উচ্চ শিক্ষাতে আরও নজর দিয়ে সংখ্যালঘুদের জায়গা করে দিতে হবে এই দাবী উঠছে সর্বত্র।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর একাউন্টেন্ট হাসিবুর রহমানকে নিয়োগ করা হযেছে ত্বহা সাহেবকে খুশি করার জন্য। কারণ হাসিবুর রহমানের নাম সুপারিশ করে পাঠিয়েছিলেন ত্বহা সিদ্দিকী। নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন রেজিস্টার আনোয়ার হোসেন।
আলিয়াতে ক্যাজুয়াল হিসাবে চাকরি পায় প্রথমে এই হাসিবুর রহমান তাঁর কীর্তি শুনুন। শিক্ষকদের ট্যাক্স কেটে নেয়া টাকা সময় মত জমা না দেওয়ায় খেসারত দিতে হল
2009-13 সাল পর্যন্ত। বর্তমান উপাচার্য আসার আগে এই ঘটনা।
আর এখন তার জরিমানা বাবদ 51লক্ষ টাকা জমা দিতে হল ইনকাম ট্যাক্স দফতরকে।
আরও কিছু তথ্য জানলে অবাক হবেন এই হাসিবুর রহমানের। 20/04/15 সালে অগ্রিম বাবদ AC কেনার জন্য 4.50 লক্ষ টাকা নিয়ে এসি কেনার পর আজও পর্যন্ত তার হিসাব দেননি।
যেটা সরকারি নিয়ম অনুসারে টাকা নেবার তিন মাসের মধ্যে হিসাব দিতে হয়। এসি কেনার হিসেব সংখ্যালঘু দফতর বারে বারে চিঠি করার পরেও কোনও উত্তর দিচ্ছেন না তিনি।
ত্বহা সাহেবের সুপারিশে চাকরি পাওয়া হাসিবুর রহমান তাহলে আসল কালপিট এটা বলা যাবপ কী তার বিচার কারা আমার পক্ষে শোভা পায় না। পাঠক আপনারাই বিচার করুন।
শুধু তাই নয় বেশ কিছু দিন আগে আলিয়াতে টিচিং স্টাফ নিয়োগে কিছু নতুন নাম সুপারিশ করেছিলেন ত্বহা সিদ্দিকী।
আর এই অন্যায় দাবি মেনে না নেয়াতেই ত্বহা সিদ্দিকী এখন উপাচার্য এর বিরুদ্ধচারণ শুরু করেছেন। এটা আমরা সহযেই বুঝতে পারলাম।
আগামীতে আরও মোট ১১টি ফাজিল মাদ্রসাকে কামিল পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। খুব শীঘ্রই যাতে করে ঘরের কাছে ইসলামিক থিওলজিতে অনার্স করতে পারে ফাজিল পাস করা ছাত্রছাত্রীরা। আর এই উদ্যোগ সুরেশ কুমার ও প্রফেসর আবু তালিব খান নিয়েছেন।
তাহলে ইসলামিক থিলোজির প্রসার ও উন্নতির চেষ্টা করছেন উপাচার্য।
অথচ আলিয়াহ সহ মাদ্রাসা থেকে ইসলামী ধর্মতত্ত্ব তুলে দেয়া হচ্ছে এই অপপ্রচার ত্বহা সিদ্দিকী হুজুর কবে বন্ধ করবেন সেটাই দেখার।
কারণ এর আগেও ১১ টী ফাজিল মাদ্রাসাকে কামিল মানে বিএ সমতুল্য করা হয়েছে।
গত কয়েকমাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরবি বিভাগের প্রধান মসিউর রহমানকে কন্ট্রোলার অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক হিসাবে নির্বাচিত করেছিল। অথচ আলিয়ার ডেপুটি রেজিস্টার কেশ করে এই নিয়োগকে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
কারণ মসিউর দাঁড়ি রেখেছেন বলে, ভাবা যায়! তখন ত্বহা সিদ্দিকীকে পাওয়া যায়নি কেন? না কি মসিউর যোগ্য নয়?
অথচ এখন ওই সমস্ত কুচক্রী ছাত্রদের সাথ দিয়ে মুসলমান সমাজকে কি বার্তা দিতে চাইছেন তিনি? যারা আইন হাতে তুলে নেয় তারা তো সাজা পাবেই।
বেশ কয়েক বছর সরকারি মাদ্রাসাতে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি সেই কারণে মাদ্রাসাগুলি প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে অথচ শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বা এই সমস্যা সমাধানে মুখ খুলতে দেখা যায়নি কেন ত্বহা সিদ্দিকীকে?
এখন ব্রিগেড সমাবেশের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। মুসলিম সমাজ জানতে চান ত্বহা হুজুর মুসলিমদের উন্নয়নের দাবিতে সমাবেশ কবে হবে?
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক থিওলজি তুলে দেওয়া হচ্ছে এই অপপ্রচার বন্ধ হোক।
পিছিয়ে পড়া সমাজের শিক্ষা প্রসারে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবেগ ও ভালবাসার জায়গা। এই বিশ্ববিদ্যালয় কখনই বিপথে চালিত হতে পারে না। আমরা আমাদের পরম ভালবাসায় গড়ে তোলা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করবই।
আসুন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমি আওয়াজ তুললাম। আপনিও আওয়াজ তুলুন। রাজনৈতিক নেতাদের আখের গোছাতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়নি।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীতে আরও নতুন নতুন বিভাগ চালু করতে উপাচার্য মহাশয় উদ্যোগী হবেন এই আশা রাখি।
কিন্তু কিছু উস্কানি প্রদানকারী রাজনৈতিক ব্যক্তি আর বর্তমান সরকারের সংখ্যালঘু নেতা ও বিশেষ সুবিধা নেওয়া স্বার্থপর ‘গাঁয়ে মানেনা আপনি মড়ল’-দের পরোক্ষ ইন্ধনে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ভবিষ্যতকে নষ্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের দাবি ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদেরও পাশ করিয়ে দিতে হবে।এই অসভ্য আচারব্যবহার কাম্য নয়। আমরা তাদের সঠিক পথে এবং পঠনপাঠন অব্যাহত রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আবেদন রাখছি।
এখন আবার নতুন করে অভিযোগ করছে আন্দোলনকারীরা যে উপাচার্য সাহেব ইসলামিক থিওলজি অর্থাৎ কোরান হাদীসকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
আসুন এই বিষয়ে কিছু তদন্ত করে আসল সত্য তুলে ধরি।
এবারে দেখে নেওয়া যাক কোরান ও হাদিসের উন্নয়নের জন্য উপাচার্য কি কি উদ্যোগ নিয়েছেন।
হাদিস ও কোরান নিয়ে যারা পড়াশোনা করেন তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এই বাংলায় আলোর দিশা।
ইসলামিক থিওলজি নিয়ে যারা পড়াশোনা করেন তাদের জন্য বি.এড. পড়ার জায়গা ছিল একমাত্র আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। গুটিকয়েক সিট্ থাকার কারণে বাংলার বহু ছাত্র ছাত্রী সুযোগই পেতোনা।
কিন্তু আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য দায়িত্ব নিয়ে আলিয়াতে বি.এড. বিভাগ খোলার জন্য সব আয়োজন করলেন।
অনুমোদন নিয়ে এলেন এবং সবথেকে বেশি সিট্ মোট কুড়িটি (একশোর মধ্যে) ইসলামীক থিওলজি বিভাগকে সংরক্ষণ করে দিলেন।
ইসলামিক থিওলজি বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য ঐতিহাসিক কাজ করলেন তিনিই। উদ্যেগ নিয়ে সব আয়োজন করলেন।
ছয়জন হাদিস-কোরান নিয়ে পড়া ছাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গবেষণা (Ph.D) করছেন যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
আলিয়া ইউনিভার্সিটির মূল ক্যাম্পাস- যা হেরিটেজ বিল্ডিং তার মূল কাঠামোকে অক্ষুন্ন রেখে যে ধরণের রি-কনস্ট্রাকশন হচ্ছে তা সমালোচকদের মুখ এবার আশা রাখি একটু হলেও বন্ধ হবে। কারণ এই বিল্ডিংয়ের কথা কেউ ভাবেনি এবং এর পাশে লাইব্রেরী ভেঙে ইসলামিক থিওলজির জন্য আবার নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু করেছেন উপাচার্য।
হেরিটেজ ক্যাম্পাসের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ.পি. বিভাগ নামে কলকাতা মাদ্রাসা (আরবি ও ফার্সি বিভাগ গভার্নমেন্ট স্কুল) চলতো। ১৮৫৪ সালের পর এই ২০১৭ সালে ওই গভার্নমেন্ট স্কুলের পাশে ছয়তলা সুদৃশ্য বিল্ডিংয়ে শিফ্ট করিয়েছেন উপাচার্য ও সুরেশ কুমার। ফলে পুরো হেরিটেজ ক্যাম্পাসটা এখন এই আলিয়া তথা ইসলামিক থিওলজী বিভাগের সম্পদ।
উপাচার্য নিজে উদ্যোগ নিয়ে এ বছর নতুন করে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে UG কোর্স খুলেছেন। এখানে এই বিষয়ে শুধুমাত্র ফাজিল পাস করা ছেলেমেয়েরা যাদের থিওলজি বিষয় ছিল তারাই শুধুমাত্র আবেদন করতে পারবে। ফলে যে সব ছেলে মেয়েরা থিলোজিতে সুযোগ পেতোনা এখন তারাই এই বিষয়ে অনার্স করার সুযোগ পাবেন।
ইসলামিক থিওলজী বিষয়ে এম.এ. ও বি.এ. করার জন্য মোট চারটি জায়গা ছিল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ফুরফুরা শরীফ এর মাদ্রাসা, মুর্শিদাবাদ এর বেলডাঙা ও মালদহের বাটনা মাদ্রাসাতে। কিন্তু আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য আবু তালেব খান এর উদ্যোগ নিয়ে এই এপর্যন্ত মোট এগারোটি উচ্চমাধ্যমিক ফাজিল মাদ্রাসায় UG কোর্স খুলে দিয়েছেন ও নতুন বিল্ডিং করার কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। হাদিস ও কোরান নিয়ে ছেলেমেয়েরা আরও যাতে ঘরের কাছে ইসলামিক থিওলজি নিয়ে বি.এ. পড়ার সুযোগ পায় এই প্রয়াসকে সকলেই কুর্ণিশ জানিয়েছেন।
এই মাদ্রাসা গুলিতে ইসলামিক থিওলজি নিয়ে এম.এ. ডিগ্রিও তিনি ২০১৯ এর মধ্যে চালু করবেন তার জন্য সব পরিকাঠামো ঠিক করছেন।
আগামীতে আবার মূল ক্যাম্পাসের কাছে ইসলামিক থিওলজির ছেলে মেয়েদের জন্য নতুন দুটি হোস্টেলের কাজ শুরু করতে তিনি সব আয়োজন করছেন।
নেট ও সেটে ইসলামিক থিওলজিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই কাজ নিয়ে তিনি ছুটাছুটি করছেন। হাদিস ও কোরানের শিক্ষাকে তিনি রক্ষা করতে ও মর্যাদা দিতে তিনি সর্বদা সচেষ্ট আছেন।
ইসলামিক থিওলজি নিয়ে পাশ করা ছাত্র-ছত্রীদের জন্য উপাচার্য ইতিমধ্যেই এম.এড. ও এম.ফিল. চালু করতে সচেষ্ট হয়েছেন।
গত ২৫ জুলাই ২০১৭ তে মোট ২৪ জনের ইন্টারভিউ নিয়েছেন তার মধ্য থেকে চারজনকে ইসলামিক থিওলজিতে Assistant Professor নিয়োগ করা হবে। ইসলামিক থিওলজির বিভাগকে উন্নতির জন্য।তাই ইসলামিক থিওলজি বিভাগ তিনি তুলে দিতে চাইছেন বলে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা যে দাবী তুলছেন তা মিথ্যা বলে মনে হয়।
তাই যদি হবে এই উপাচার্য তাহলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করছেন কেন ? এটা আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝতে হবে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর কল্যাণকর কাজে সর্বদা উপাচার্য নিবেদিত প্রাণ।
অতএব আন্দোলনকারীদের কাছে আবেদন একটু ভাবুন এবং সচেতন হয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করুন। উপাচার্য ইসলামকে শেষ করে দিলো এরকম অপপ্রচার বন্ধ করুন। উপাচার্য মহাশয় যে মহৎ কাজ করছেন তাঁর সহায়তা করে জাতি ও দেশকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনিও সাহায্য করুন।
সফল হওয়ার জন্য ভালো করে পড়াশোনা করুন।
গুজব ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সত্যকে ধামাচাপা দেয়া যায়না এটা মনে রাখবেন।
আজ এই আলিয়া ইউনিভার্সিটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে তা শুধুমাত্র জনাব আবু তালিব খাঁন সাহেবের দক্ষ পরিচালনায় |
প্রফেসর আবু তালেব খান আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে যে উচ্চতায় তুলেছেন তাঁর কাজের দক্ষতায় তা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্যদের কাছে বড় প্রেরণার জায়গা হয়ে উঠেছে তিনি।
সম্প্রতি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি সংগঠন স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন এম.এ.-কোর্সে আরবি ভাষা বিভাগ চালু করতে এই উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন উপাচার্য মহাশয়।
গ্রন্থকার ও জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব উপাচার্য আবু তালেব খান ও সংখ্যালঘু দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শ্রী সুরেশ কুমার এর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন “ত্বহা সিদ্দিকী কে কেউ দায়িত্ব দেয়নি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নোংরামী করার। ওকে মুসলমান সমাজকে বিভ্রান্ত করার এবং ঠিকা নেওয়ার দায়িত্ব আমরা দিইনি। তাই ওর কথার কোনও গুরুত্ব নেই। ছাত্রছাত্রীদেরকে বলছি আলোচনা করে সমাধান করতে। পঠনপাঠন চালু রেখেই আলোচনাতে বসতে হবে। পরের কথায় চললে বিপদ বড়বে।”
বর্তমান উপাচার্য আবু তালেব খান,পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর অনৈতিক দাবি না পূরণ করতে পারায় আজ তিনি আন্দোলনকারী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পাশে। আমি আপনাদের সামনে অন্যায় আব্দারটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। গত 2012 সালে পূর্বতন আলিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জনাব ত্বহা সিদ্দিকীর চাপে শামীম ফিরদৌসকে ইতিহাস বিভাগে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগ করে, যেখানে ইতিহাস বিভাগে কোনও পার্মানেন্ট পোস্টই ছিলোনা। সেই শামীম ফিরদৌস হলেন ত্বহা সিদ্দিকীর অনুগত শিষ্য ও মুরিদ৷ ত্বহা সিদ্দিকী বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর আবু তালিব খানকে চাপ দিতে থাকেন আগের মত কিভাবে শামীম ফিরদৌস এর বোনকে ভূগোল বিভাগে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু গত 2016 সিলেকশন কমিটি রেকোমেন্ডেশন না করায় শামিম ফিরদৌসের বোনকে নিযুক্ত করা যায়নি৷ সেই জন্য ত্বহা রাগ বেড়ে যায় বর্তমান উপাচার্যের উপর। তাছাড়া এই বছরে শামিম ফিরদৌসের বোনের বয়স সীমা পেরিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ডাক পাননি। শামীম ফিরদৌসের বোন এবারও ইন্টারভিউয়ে কল লেটার পায়নি যার ফলে হুমকিও দেওয়া হয়।
সেই জন্য ত্বহা সিদ্দিকী বর্তমান রেজিস্টারকেও ধমক দেন। কেন কল লেটার দেওয়া হয়নি তা জানতে চেয়ে।
ত্বহা সিদ্দিকী চান বিশ্ববিদ্যালয়ে খবরদারি করতে। নিয়োগ পক্রিয়াতেও চান নিজের লোকদের চাকরি দিতে। ত্বহা সিদ্দিকী হুজুর অন্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন মোটেও চান না। যদি চাইতেন তাহলে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন না।
শামিম ফিরদৌস হুজুরকে খুশি করতে ত্বহা সিদ্দিকীর নামেই একটি বই লিখেছেন। ভাবুন একবার আমরা কোথায় আছি?
সব থেকে দুঃখজনক কান্ড শুনুন ত্বহা সিদ্দিকীর নাকের ডগায় ফুরফুরা সিনিয়ার মাদ্রাসাকে আলিয়ার ক্যাম্পাস করার জন্য জমি দিতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির নিজেদের বিভেদের কারণে আজও ফুরফুরা ক্যাম্পাসের জট ছাড়েনি। ফলে কোটি কোটি টাকার কাজ শুরু করা যায়নি। আর ওই মাদ্রাসার সেক্রেটারিও ছিলেন ত্বহা সিদ্দিকী নিজে। তাহলে যিনি নিজেই নিজেদের মাদ্রাসার সমস্যা সমাধান করতে পারেননি, তিনি কি করে করবেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার সমাধান যা খুবই হাস্যকর।
তাই সকলের কাছে আবেদন মিথ্যা প্ররোচণায় পা দেবেননা।
ত্বহা সিদ্দিকী মুসলমানদের কল্যাণ চান তাহলে ওবিসি “এ” যোগ্য ও পাশ করা ছেলে মেয়েরা চাকরি থেকে বাদ পড়ছে তার জন্য তিনি তো পথে নেমে কোনও আন্দোলন করছেন না।
সর্বত সংখ্যালঘুরা চাকরি থেকে বাদ পড়ছে দিন দিন খোভ বাড়ছে বেকারদের মনে তখন হুজুর এর প্রতিকারে কী পদক্ষেপ নিলেন।
ছাত্রদের যে ভাবে পুলিশ পিটিয়েছে তার নিন্দার ভাষা নেই। ছাত্রদের জেল এটাও মানা যায় না।
(প্রকাশিত মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব মন্তব্য। মতামতের কোন দায় নিউজফ্রন্ট কর্তৃপক্ষ নেবেনা।)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584