নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
ইরাকের রাজধানী এবং তার দক্ষিণে বিক্ষোভকারীরা রবিবার, স্কুল-কলেজ ও সরকারী অফিসগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তনের দাবিতে তাদের এই বৃহৎ আন্দোলন বলে জানা গিয়েছে।
বাগদাদে, মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিতে আন্দোলনকারীরা চলতি সপ্তাহে রাস্তার মাঝে যানবাহন রেখে রাস্তা ব্লক করে দেয়, যাতে সমস্ত অঞ্চল জুড়ে এক বিক্ষোভের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায়। আশেপাশের চেকপয়েন্টগুলো থেকে পুলিশ অফিসাররা নজরদারি করেছে ঠিকই কিন্তু পরিস্থিতি এতই ভয়ঙ্কর যে তাতে কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে এবং দেশের জাতীয় শিক্ষক ইউনিয়ন গত সপ্তাহে যে ধর্মঘট শুরু করেছিল তা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তার এবং আইনজীবী সিন্ডিকেটরা সকলেই এই প্রতিবাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
অন্যদিকে পূর্ব কূটে বিক্ষোভকারীরা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, স্কুল, সরকারি সংস্থাগুলিকে বন্ধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। একটি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বছর পঁচিশের প্রতিবাদী তাহসিন নাসির বলছেন, “আমরা এই বিক্ষোভের মাধ্যমে রাস্তাঘাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই দুর্নীতিবাজ এবং চোরদের লাথি মেরে যতক্ষণে না শাসন ব্যবস্থার উন্নতি হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।”
তিনি আরও বলেছেন, “আমরা সরকারি কর্মীদের অফিসে পৌঁছানোর অনুমতি দিচ্ছি না, কেবল মানবিক ক্ষেত্রগুলিতে যারা হাসপাতাল যাচ্ছেন তাদের কিছু বলছি না।” আরও দক্ষিণে হিল্লা, নাসিরিয়াহ, দিওয়ানিয়াহ এবং কারবালায় বেশিরভাগ সরকারী অফিস খোলা ছিল না এ দিন।
বেকারত্ব, দুর্বল সরকারি সেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন ১ অক্টোবর বাগদাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। তা দ্রুত শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণের এলাকাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584