মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
আরও একবার খবরের শিরোনামে উঠে এল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এবার নম্বর বিভ্রাটের জড়িয়ে পড়লো বিশ্বভারতী। এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে সোমবার সন্ধ্যায়। মঙ্গলবার বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত হয় এই প্রবেশিকা পরীক্ষার মেধাতালিকা। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পরীক্ষার্থীদের।
এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল ১০০ নম্বরে। কিন্তু প্রকাশিত মেধাতালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১০০-র মধ্যে কেউ পেয়েছেন ১৯৬, কারও প্রাপ্ত নম্বর ১৫১। কীভাবে এই মূল্যায়ণ করা হয়েছে? প্রশ্ন তুলছেন পরীক্ষার্থীরা। যদিও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনয় ভবনে এম.এডে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ টি আসন বরাদ্দ। এরমধ্যে ২৫ টি আসন অভ্যন্তরীণ ও ২৫ টি আসন বহিরাগত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত ও ৪০ নম্বর অ্যাক্যাডেমিক স্কোরের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
আরও পড়ুনঃ নিট সুপার স্পেশালিটি মামলায় সিলেবাস বদলের কারণ না জানালে কড়া পদক্ষেপঃ সুপ্রিম কোর্ট
পরীক্ষার পর মেধা তালিকার ভিত্তিতেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এডে ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের পর দেখা গেল, তাতে একজন পেয়েছেন ১৯৬.৩৬। আরেকজনের প্রাপ্ত নম্বর ১৫১.২৭। মেধাতালিকায় প্রকাশিত ৪৩ জনের মধ্যে এই দু’জনের প্রাপ্ত নম্বরেই এই বিভ্রাট দেখা গিয়েছে। বাকিদের নম্বরে অবশ্য তেমন কোনও গরমিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ চটির ভিতর ব্লুটুথ! রাজস্থানের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৫
কিন্তু ওই দু’জনের প্রাপ্ত নম্বরই বিশ্ববিদ্যালয়কে যাবতীয় প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ওই দু’জনের প্রাপ্ত নম্বরে যে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে তা নিয়ে পরীক্ষার্থীমহলে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, কারচুপি করে বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন পরীক্ষকরা।যদিও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584