রিচা দত্ত, মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদ জেলায় এনআরসির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করলেন রাজ্য পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।শনিবার ভরতপুর আলিয়া হাই স্কুলের মাঠে এক ঐতিহাসিক জন সভায় যোগদিতে গিয়ে আগাগোড়ায় আক্রমণ শানান জেলা কংগ্রেসের ওপর।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,” লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলার কংগ্রেস নেতৃত্ব স্লোগান তুলেছিল তিনে তিন তৃণমূল কংগ্রেসকে কবর দিন।ফল প্রকাশের পর দেখা গেল দুটি আসনে মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন।একটি তারা পেলেও সামান্য মার্জিনে জিতেছেন।তবে সেই কেন্দ্রে গত নির্বাচনে ৩ লাখ ৮০ হাজার মার্জিনে জিতলেও সেই মার্জিন এখন মাত্র ৭৮ হাজারে ঠেকেছে।
আগামী দিনে সেটাও আমাদের হতে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, “একটি আসন আমরা হারালেও জেলার ২২ বিধানসভার মধ্যে ১৬ টিতে আমরা এগিয়ে।
ফলে ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের লক্ষ্য ২২ শে বাইশ।” লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস উল্লেখযোগ্য ভোট কম পাওয়ায় নিজের দলের নেতাদের খোঁচা দিয়ে বলেন, ২২ টির মধ্যে আমি ২১ টির দায়িত্ব নেব।বহরমপুরের দায়িত্বে আমি নেবনা।কারণ বহরমপুরে কালিদাসের বাস।তারা যে ডালে বসে থাকে সেই ডাল কাটে।
আরও পড়ুনঃ নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী, দিলেন চাকরির প্রতিশ্রুতি
পাশাপাশি বহরমপুরের দায়িত্বভার দেয় দলের জেলা সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানকে।’ ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে বিধানসভা কক্ষে বাকবিতন্ডার কথা তুলে বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে ভরতপুর এলাকায় ৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে কংগ্রেস।
তাই এখানকার বিধায়ককে প্রাক্তন বলেছিলাম। তাতেই রাগ হয়েছিল।আগামী নির্বাচনে আমার সেই কথার প্রমান মিলবে।” পরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এনআরসি বিষয়ে জেলায় পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিনের সভা জেলার দুই সাংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমানকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় ভরতপুরের দুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
এদিনের সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক সহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন সহ মহকুমা ও বিভিন্ন ব্লকের একাধিক নেতৃত্ব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584