মণিরাজ ঘোষ, মেদিনীপুরঃ
আর পাঁচটা দিনের থেকে হয়তো একটু অন্য রকম হতে পারতো এই দিনটা! জন্মদিন বলে কথা। কিন্তু, গভীর এক সামাজিক সংকটে মানুষ আজ বড়ো অসহায়। প্রশাসনও মহামারীর মোকাবিলায় ডাক দিয়েছে,লকডাউনের। সব মিলিয়ে এক আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। তার ওপরে আবার গ্রীষ্মকালীন রক্তের সংকট এবং থ্যালাসেমিয়ার মতো মুমূর্ষু মানুষের জরুরী রক্তের চাহিদা।
এই সব কিছুর মোকাবিলাও হাতে হাত রেখে করা যায়। যদি সেই সমাজে সুব্রত চক্রবর্তীর মতো তরুণদের অস্তিত্ব থাকে।
আরও পড়ুনঃ মহামারী ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান জৈন পরিবারের
লকডাউনের শুরু থেকে আজ অবধি মানুষের পাশে থাকা, সেবা করার মতো প্রচেষ্টা তো জারি আছেই। তার সাথে আবার বিশেষ দিনেও মানুষের প্রয়োজনে নিজেকে রক্তদানের মত কাজে সমর্পণ করা। মেদিনীপুর শহরের ডিওয়াইএফআই এর সক্রিয় কর্মী তথা শহর পূর্ব লোকাল কমিটির সম্পাদক ও বেসরকারি এক কলেজের শিক্ষক সুব্রত বাবু।
তিনি বরাবরই মানুষের জন্য এগিয়ে এসেছেন। এমনকি নিজের থেকে অন্যের কথা বেশি ভাবে বলেই আজ রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সব মহলেই প্রায় অজাতশত্রু বলে নিজেকে মনে করেন তিনি।
শনিবার যখন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থেকে খবর আসে উত্তম দোলই নামের এক থ্যালাসেমিয়া রোগীর এ পজেটিভ (A+) রক্তের প্রয়োজন। তখনই সে ঠিক করে নেয়, যে তাঁর জন্মদিনকে স্মরণীয় করার জন্য এর থেকে ভালো সুযোগ আর আসবেনা।
তাই, রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়ায়, সত্বর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন সুব্রতবাবু।এজন্য অনেকের কাছে না না গঞ্জনাও শুনেছেন তিনি।
এ নিয়ে অনেকে মনে করেন যে তার মতো মেদিনীপুরে এমন মানুষ আছে বলেই রক্তের বিনিময়ে তার জন্মদিনই নয়, বরং একটা প্রাণকে জিতিয়ে দিলাম বলে দাবি বাসিন্দাদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584