সফল অস্ত্রোপচারে তিন বছর পর রুগী ফিরে পেল পা

0
191

নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদহঃ

Successful surgery give leg back After three years
নিজস্ব চিত্র

ভুল চিকিৎসার কারণে আক্রান্ত রোগী স্বাভাবিক হাঁটাচলা হারাতে বসেছিল।বছর তিনেক ধরে এই কষ্টের মধ্যে ছিলেন তিনি।অবশেষে মালদহ মেডিক্যালের চিকিৎসকদের নিরলস প্রচেষ্টায় ফিরে পেলেন তিনি নিজের ডান পা।বিরল অস্ত্রোপচার করে আবার সাফল্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।আর এই বিরল কাজটি করে দেখালেন মেডিক্যালের অর্থোপেডিক সার্জান ডাঃ প্রশান্তকুমার সাহা। ভুল চিকিৎসার জন্য চিরকাল স্বাভাবিক হাঁটাচলা হারাতে বসেছিলেন এক ব্যক্তি।আক্রান্ত রোগী এরপর ক্র‌্যাচের ওপর ভর দিয়ে নয়, স্বাভাবিকভাবে ডান পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারবেন।চিকিৎসকের এই সাফল্যে খুশি রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন।বিশেষ করে আরও আনন্দিত নিজের কাজটি ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য।এক সময় কাজ টিকিয়ে রাখার আশাও তিনি ত্যাগ করেছিলেন।এখন স্বচ্ছন্দ্যে নিজের পেশা বহাল রাখতে পারবেন ওই ব্যক্তি।জানা গেছে,আক্রান্ত রোগীর নাম সুবীর দে।বছর পঞ্চাশের সুবীর দের বাড়ি শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকায়।বছর তিনেক আগে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় তাঁর ডান পায়ের হাঁটুতে জোর আঘাত লাগে।হাঁটুর টিবিয়া ভেঙে ৪ টুকরো হয়ে পড়ে। এরপর তিনি বিহারের পাটনায় গিয়ে অস্ত্রোপচার করেন।অস্ত্রোপচারের পরও তাঁর পা সোজা হয় নি।পা ভাঁজ করে রাখতে হত।এরপর চিকিৎসা করিয়েও পা সোজা করা সম্ভব হয় নি।তিন বছর ধরে টানা কখনও পাটনা,তো কখনও রায়গঞ্জ, তো কখনও মালদায় চিকিৎসা করিয়েছেন। তবুও তাঁর পা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয় নি। ক্র‌্যাচের ওপর ভর করে তাঁকে কোনও রকমে হাঁটাচলা করতে হত।এরপর তিনি মালদহ মেডিক্যালের অর্থোপেডিক বিভাগে দেখা করেন। এসে পড়েন ডাঃ প্রশান্তকুমার সাহার কাছে। দিন সাতেক আগে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপোচার করা হয়। এদিন তাঁর পায়ে প্লাস্টার করা হয়।এখন অনেকটাই সুস্থ সুবীরবাবু।ডাঃ প্রশান্তকুমার সাহা বলেন,‘‌ভুল চিকিৎসার কারণে ভেঙে যাওয়া হাড়গুলি জোড়া না লাগায় সেখানকার পেশির মাংস ছোট হয়ে গেছিল।ফলে পা ভাজ হয়ে পড়েছিল।আমরা গত সপ্তাহে হাড়গুলি জোড়া লাগানোর ব্যবস্থা করি। পাশাপাশি পেশির মাংস আলদা করে দিই।এদিন প্লাস্টার করা হয়। ক’‌দিন পর তিনি নিশ্চিন্তে হাঁটতে পারবেন।’‌

আরও পড়ুনঃ সফল অস্ত্রোপচার করে আবারো শিরোনামে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

হাঁটতে পারার কথায় খুশি সুবীরবাবু বলেন,‘‌আমি ভাবতেই পারছি না যে, স্বাভাবিকভাবে আবার হেঁটেচলে বেড়াতে পারব।এজেন্সি রিকভারির কাজ করি।ছুটে বেড়ানো কাজ আমার।কাজ প্রায় চলে যেতে বসেছিল।এখন যে নিজের পছন্দের কাজটিও বহাল রাখতে পারব। ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ।উনি আমাদের কাছে ভগবানের সমান।’‌

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here