সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
আচমকা একের পর এক রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাচ্ছেন আসানসোল পুরকর্তারা। অভিযানে শুধু খাবারের মান নয় বাসনপত্র, সবজি কাটার ছুরি সেগুলিও কতটা স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
পুরো নিগমের খাদ্য দপ্তরের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগত বলেন, হোটেলগুলিতে তরকা ও মাংস জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখার প্রবণতা রয়েছে। কোন কোন খাবার থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
আসানসোল জিটি রোডের ধারে পরপর আট-দশটি বার কাম রেস্টুরেন্ট রয়েছে। দুর্গাপুর আসানসোল থেকে পূজা দেখতে আসা মানুষরা এই ধাবাগুলিতে খাবারের জন্য আসেন।
পুজোর আগে আচমকা এই অভিযানে খাবারের মান একদিকে যেমন পরীক্ষা হচ্ছে অন্যদিকে হোটেলগুলির যে বাসি খাবার দেওয়ার প্রবণতা আছে তা থেকেও সচেতন হচ্ছে। পুরনো খাবার রয়েছে এরকম একটি রেস্টুরেন্ট ধরা পড়ে পুরকর্তাদের অভিযানে।
আরও পড়ুনঃ অব্যাহত হাতির হানা, ক্ষতিপূরনের আশ্বাস বনদফতরের
ফতেপুরের সেই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সঞ্জীব সিনহা বলেন, ফ্রিজে খাবার থাকলেও সেই খাবার গ্রাহকদের দেওয়া হয় না। খাবার ফেলা হয়নি তাই রয়ে গিয়েছে। যদিও হোটেলে খেতে বসা এক ব্যক্তি তা বলছেন না। বাসি খাবার দেওয়া হয়েছে বলেই তিনি অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে তা শেষ হবে আজ বৃহস্পতিবার। পুরসভার এই অভিযানকে সমর্থন করছেন আসানসোলের মানুষরা। বাতানুকূল ঘরে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করার প্রবণতা তা দূর হওয়া উচিত বলে মনে করেন আসানসোলের বাসিন্দারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584