নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর ২৪ পরগনাঃ
সোদপুরে দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো ধোঁয়াশায় পুলিশ। আর তার মধ্যেই উঠে এলো এমন এক চাঞ্চল্য কর তথ্য যা শুনে চক্ষু চড়ক গাছ তদন্তকারী অফিসারদের। মধুচক্র চালানোর অভিযোগে একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন বিপ্লবের স্ত্রী শ্রিপাদেবী। ৩ মাস জেলও খাটেন তিনি। কিন্তু তারপরেও স্ত্রীকে সংশোধন করতে পারেননি বিপ্লব।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেহিসেবি খরচ, সুদে টাকা খাটানো আর লাগামহীন জীবনযাপন নিয়ে স্ত্রী শিপ্রার সঙ্গে ঝামেলা লেগেছিল বিপ্লববাবুর। আর এর জেরেই কি স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন বিপ্লব চক্রবর্তী।
এদিন সকালে সোদপুরের ইন্দ্রলোকে একই ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামী বিপ্লব চক্রবর্তী (৫০)কে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে স্ত্রী শিপ্রা চক্রবর্তী (৪০)কে ঘরের জানালার সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বাড়িমালিক সুব্রত দাস জানান, বছরখানেক আগে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বিপ্লব চক্রবর্তী। এলাকায় সবাই তাঁদেরকে ভালো পরিবার বলেই জানত। তবে মাঝেমধ্যে সাংসারিক অশান্তি হত। যার বেশিরভাগই টাকাপয়সা সংক্রান্ত ছিল। কিন্তু, তার পরিণতি যে এমনটা হতে পারে, তা মোটেই আন্দাজ করা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ শিশুহত্যা মামলায় প্রমান অভাবে আদালতে ক্লিনচিট….
আজ সকাল ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় ঘরের জানলা-দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় বাড়িমালিক সুব্রত দাসের। তারপরই উদ্ধার হয় দেহ দুটি। দম্পতির ছোট মেয়েই প্রথম বাবা, মা-কে ওই অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঘোলা থানার পুলিশ। পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584