কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় মানসিক অত্যাচারে আত্মঘাতী গৃহবধূ

0
104

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

তাঁর অপরাধ ছিল পুত্র সন্তান জন্ম দিতে না পারা।জন্ম দিয়েছিলেন কন্যা সন্তান।তাই তাঁর উপর পরিবারের নির্যাতন ও ক্রমশই বাড়ছিল।সেই অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে অবশেষে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ।গৃহবধূ সাহিনা পারভীন চৌধুরী। খণ্ডঘোষ থানা অন্তর্গত সাঁকো জুবিলা সগড়াই গ্রামের ঘটনা।সাহিনার পরিবার সূত্রে জানা যায় বারো বছর আগে তাঁর বিবাহ হয়েছিল খণ্ডঘোষের সাঁকো জুবিলা গ্রামের মহম্মদ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সামাজিক রীতি নিয়ম মেনে।এই বারো বছরে তিনি তিনবার মা হয়েছেন।প্রত্যেকবারই জন্ম দিয়েছেন কন্যা সন্তান।প্রথম থেকেই পুত্র সন্তানের জন্য তাঁকে মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল,এখন পরপর তিনটি কন্যা সন্তান হওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়ছিল বলে পরিবারের অভিযোগ। আর কোনভাবেই সাহিনা এই অত্যাচার সহ্য করতে পারছিলেন না তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে বাঁচার পথ তিনি নিজেই খুঁজে নিলেন।সাহিনার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ,সাহিনা প্রথমে গলায় দড়ি নিয়েছিলেন।সেটি দেখা হয় অনেকক্ষণ পরে। তারপর তাঁকে মাটিতে শুইয়ে রাখা হয় কিন্তু তখনো কোনো চিকিৎসককে ডাকা হয়নি।পরে সাহিনার বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হলে তাঁরা এসে দেখেন,সাহিনার হালকা নিঃশ্বাস প্রশ্বাস চলছে। কেন ডাক্তারের কাছে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হলো না সাহিনাকে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বাপের বাড়ির মানুষরা। এরপর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও শেষ রক্ষা হল না।এলাকার মানুষরা বলছেন,শুধুমাত্র কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে সাহিনের উপর এই অত্যাচার করা হতো এবং একটি জীবন অকালে চলে গেল আজকের এই বিজ্ঞানের যুগে এই মানসিকতা অত্যন্ত লজ্জাকর।

আরও পড়ুন: মোমো আতঙ্ক এবার বর্ধমানে

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here