মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
‘কোন ভাবে এ রাজ্যে এনআরসি করতে দেওয়া যাবে না। এনআরসি রুখতে শুধু গন প্রতিরোধ নয়, প্রয়োজনে প্রান দেবে সিপিআইএম কর্মীরা।
এনআরসি করতে গেলে আমাদের বুকের উপর দিয়ে করতে হবে।’ শুক্রবার কোচবিহারে এই মন্তব্য করেন সিপিআইএম নেতা তথা বিধানসভার পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
এদিন তিনি বলেন, বাংলার উপর চোখ রাঙ্গাচ্ছে কেন্দ্র। ফের এন আর সির নামে ভয়ঙ্কর বিপদ নামিয়ে আনা হচ্ছে বাংলার বুকে। বাংলা ভাগের প্রবক্তা ছিলেন শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি। আজ কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি ফের এন আর সি নিয়ে চক্রান্ত শুরু করেছে বাংলায়। তাই আমরা বলছি অসম থেকে শিক্ষা নিন, এনআরসি রুখে দিন।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এন আর সি নিয়ে এক হাত নিলেও মমতা বন্ধোপধ্যায় কে গাল মন্দ করতে ভোলেন নি। পশ্চিমবঙ্গে ভয়ংকর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই তত্ত্বের প্রবক্তা রাজ্যের বর্তমানের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি ১৯৯৩ সালে বলে ছিলেন নো আইডেন্টেটি নো ভোট। এন আর সি আসলে কাগজের টুকরো। যাদের কাগজ কম,তাঁদের মুসকিল হয়। গরীব মানুষ গুছিয়ে কাগজ রাখতে পারে না। কারন এগুলির কোন প্রয়োজন হয় না। সব মিলিয়ে এন আর সি লাগাতার আন্দোলন করবে বলে তার ঘোষণা।
এদিকে সিপিআইএমের ছাত্র –যুব সংগঠন নবান্ন অভিযানে পুলিশের বর্বরিচিত আক্রমনের অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি। সুজনবাবু বলেন, সভ্যতার ইতিহাসকে হার মানিয়েছে আজকের এই আক্রমন। ওই ঘটনায় আমাদের শতাধিক কর্মী আহত হয়েছে, এদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর।
আরও পড়ুনঃ ভারত নেপাল সীমান্ত থেকে ধৃত দুই বাংলাদেশী যুবক
গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেক ছাত্র যুব নেতা। গোপন নয় ঘোষণা করেই এই অভিযান করা হয়েছে। কাজের দাবিতে ছাত্র-যুবরা যখন এই অভিযান চালায় তখন তাঁদের পুলিশ দিয়ে পেটানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সৎ সাহস হল না ছাত্র যুব নেতৃত্বের সাথে কথা বলার। তিনি পালিয়ে গেলেন। ছাত্র যুবরা হতাশ হল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584