ওয়েব ডেস্কঃ
‘বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি’ মামলার শুনানি আজ সুপ্রিম কোর্টে সম্ভব হলো না নথির অনুবাদ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দু’পক্ষকেই মধ্যস্থতার রাস্তা খোঁজার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে কোন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা যায় কিনা সে ব্যাপারে আগামী মঙ্গলবার ৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে।
দ্য হিন্দু সূত্রে জানা গেছে মধ্যস্থতার পরামর্শ দিয়ে জাস্টিস এস.এ.বোবদে মন্তব্য করেন দু’পক্ষই যদি মধ্যস্থতার রাস্তায় আসতে চায়, তাহলে কোর্ট সেখানে নজরদারি করতে রাজি আছে। কারণ এ মামলা এক দশক ধরে দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং মধ্যস্থতার মাধ্যমেই এর চিরস্থায়ী মিমাংসা সম্ভব। তাই এক শতাংশও যদি সফলতার সুযোগ থাকে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ পরিষ্কার করে দেন যে শুুুনানি তখনই সম্ভব যদি দু’পক্ষই উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুবাদ করা এই মামলার নথি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে। সেক্রেটারি জেনারেলের দেওয়া সেই নথি আজ প্রধান বিচারপতি দু’পক্ষের সামনেই পড়ে শোনান। ৩৮০০০ পাতার সেই নথি ইংরেজি, হিন্দি, সংস্কৃত, উর্দু এবং গুরুমুখী ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
রামলার পক্ষের আইনজীবী সি.এস. বৈদায়াথান এই নথির সত্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন না তুললেও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী রাজিব ধাওয়ান আপত্তি তুলে বলেন,”আমরা ইউ.পি. সরকারের তৈরি অনুবাদ খুটিয়ে পড়ার সুযোগ পায়নি ।” তখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “যদি অনুবাদের ব্যাপারে দুপক্ষ একমত না হয় তাহলে সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে কোনো সময় নষ্ট করবে না।” তিনি নথি খুঁটিয়ে দেখার জন্য আট সপ্তাহ সময় দেন। আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতার ব্যাপারে কোন নির্দেশ দেন কিনা সে দিকে সবার নজর থাকবে এখন।
আরও পড়ুনঃবাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল
উল্লেখ্য,২০১২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত ২.৭৭একর জায়গা সমান তিন ভাগ করে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রামলালা ও নির্মোহী আখড়ার মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ায় নির্দেশ দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে একাধিক আবেদন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584