সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঘরহারা হবার আশঙ্কায় ত্রিশটি আদিবাসী পরিবার

0
101

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

Supreme Court order to thirty indigenous families
নিজস্ব চিত্র

সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৬টি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, ২০১৮-র ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে পাট্টার আবেদন খারিজ হওয়া পরিবারগুলিকে উৎখাত করতে হবে।এই নির্দেশে ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন কাঁকসা ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে আদিবাসী পরিবারগুলি। আঁধারশোল গ্রাম,আড়াই চাঁদা গ্রাম প্রভৃতি গ্রামগুলিতে গিয়ে দেখা গেল পঞ্চাশের বেশি পরিবারের বাস হলেও পাট্টা রয়েছে মাত্র বারো থেকে কুড়িটি পরিবারের হাতে।

এইটাতেই ভয় পাচ্ছেন আদিবাসী পরিবারগুলি। যাঁদের পাট্ট নেই তাঁদের কি হবে? তাঁদের যদি এখন উৎখাত করে তাহলে যাবে কোথায়? আদিবাসী এই পরিবারগুলির কাছে জঙ্গল শুধু বেঁচে থাকার আবাস নয় তাঁদের জীবিকার সন্ধানে রসদও বটে।কেউ জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে থালা তৈরি করেন,কেউ বা শুকনো কাঠ আনেন জ্বালানির জন্য।আবার অনেকেই কেন্দু পাতা সংগ্রহ করে বিড়ি বাঁধেন।কাঁকসা ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে আদিবাসী পরিবারের বাস বেশি রয়েছে মলানদিঘি , ত্রিলোকচন্দ্রপুর,বনকাটি, বিদবিহার এবং গোপালপুর পঞ্চায়েতে।

আরও পড়ুনঃ প্রেম প্রলোভনে ঘরছাড়া দুই ছাত্রী,ধৃত দুই যুবক

নিউজ ফ্রন্ট-এর এই সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে গিয়ে সহজ সরল মানুষগুলির উঠে এল সুখ-দুঃখের কথা।অনেকেই আছেন যাঁরা ‘পাট্টা’ এই শব্দটি বোঝেন না, তাঁরা বোঝেন ‘কাগজ’। শালপাতা কিংবা বিড়ি বিক্রি, অনেকেই আছেন যারা দিনমজুরের কাজ করেন তাঁরা বলছেন, আমাদের জঙ্গলেই জন্ম। এখানেই বড় হয়েছি। এখন কাগজ চাইলে কোথা থেকে দেবো।

আদিবাসী অধিকার মঞ্চের কাঁকসা ব্লকের নেতা ভৈরব টুডু বলছেন, আদালতের নির্দেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, আদালতের নির্দেশ এখনও তাঁর কাছে আসেনি।
নির্দেশ না এলেও ভয় পেয়ে আছেন আদিবাসী পরিবারগুলি।চারিদিকে শুধু একটি প্রশ্ন
ভিটে হারালে কোথায় যাব?

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here