নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরির উচ্ছেদের ঘটনায় মানা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয় উত্তর দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের এই উচ্ছেদ অভিযানে। স্থগিতাদেশের নির্দেশের পরেও প্রায় দুঘণ্টা ধরে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয় ঐ এলাকার তথাকথিত অবৈধ নির্মাণ। সেই মামলারই শুনানিতে আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিলো আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া কোন উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চালানো যাবে না, বজায় রাখতে হবে স্থিতাবস্থা। এছাড়াও এনডিএমসি কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এদিন বলে মেয়রকে কোর্টের নির্দেশ জানানোর পরেও যেসব উচ্ছেদ হয়েছে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মামলার ফের শুনানি হবে দু সপ্তাহ পরে।
সওয়াল জবাব চলাকালে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী দুশ্যন্ত দাভে বলেন সাম্প্রদায়িক হিংসার পর শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের মানুষের সম্পত্তিই ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর দাবি, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করে উচ্ছেদ অভিযানের নামে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, যা দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। আইনজীবী দুশ্যন্ত দাভে এদিন এও বলেন যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যদি এভাবে অমান্য করা হয় তাহলে দেশে আর আইনের শাসন বলে কিছু থাকবে না। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে উপস্থিতি আর এক আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে জানান, বেআইনি নির্মাণ বলে যেগুলি ভাঙা হয়েছে, তার আইনি নথিপত্র রয়েছে। পুরসভার কর্মীদের সেই সব নথিপত্র দেখানো সত্বেও ভাঙচুর চালানো হয়।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির ময়ূরবিহারে নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু স্থানীয় বিজেপি নেতা জিতু চৌধুরীর
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে উত্তর দিল্লি পুরসভার হয়ে আদালতে উপস্থিত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা জানান, ফুটপাতের উপর ছোট ছোট কিছু নির্মাণ এবং জিনিসপত্রই ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আদালত পাল্টা প্রশ্ন তোলে, “চেয়ার, টেবিল, বাক্স এবং ছোট ছোট জিনিস ভাঙতে বুলডোজারের প্রয়োজন পড়ে বুঝি?” আইনজীবীরা জানান বুধবার বেআইনি নির্মাণের নামে ভাঙ্গা হয়েছে ধর্মীয় স্থানের দরজা এবং দেওয়ালও। বুধবারের ভাঙচুর নিয়ে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের জবাবও তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584