জামিয়া বিক্ষোভ সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের

0
39

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হওয়া পুলিশি নির্যাতনের রিপোর্টের তদন্ত প্রার্থনা করে সংশ্লিষ্ট উচ্চ আদালতগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে।

supreme court Recommendation to high court for Citizenship Act Protests | newsfront.co
চিত্র সৌজন্যঃ রয়টার্স

প্রধান বিচারপতি বোবদে, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি বি আর গাভাই সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছিল যে ঘটনাগুলি দেশজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে ঘটেছে বলে তদন্তের তদারকি করা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

সিনিয়র অ্যাডভোকেটস ইন্দিরা জাইজিং, সঞ্জয় হেগদে ও কলিন গনসালভেস শুনানি শেষে বলেছেন, ঘটনাগুলি বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন অঞ্চল-সহ দিল্লির পথে হয়েছে, তাই এর জন্য আলাদা করে একটি কমিটি নিয়োগ করা সম্ভব নয়। এর জন্য উচ্চ আদালতের কাছে যাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ দিল্লি পুলিশের সহিংসতার তীব্র নিন্দা, জামিয়া-আলিগড়ের পাশে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে উচ্চ আদালত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ, শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা এবং আহত শিক্ষার্থীদের চিকিত্সা সহায়তা প্রত্যাখ্যান ইত্যাদির মতো সমস্ত বিষয় বিবেচনা করার স্বাধীনতা থাকবে।

এদিকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জাইসিং অভিযোগ করেছেন যে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা করেছে। জাইসিং বলেছেন যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবরোধ করেছিল। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কারাগারে নিক্ষেপ করা যাবে না। জবাবে প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেছিল যে শিক্ষার্থীরা পাথর ছুঁড়লে এফআইআর করা হবে না?

অন্যদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা পেশ করেছেন যে একটি ছাত্রকেও গ্রেফতার করা হয়নি। এসজি আবেদনকারীদের আবেদনটি ‘গুজব’ হিসাবে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চিকিত্সা সহায়তা প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারটিও উল্লেখ করেন। এসজি আরও জানান, পুলিশ কর্মকর্তারাও আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারি করণের প্রতিবাদে আইএনটিটিইউসি-র স্মারকলিপি

আবেদনকারীদের মতে, রবিবার বিকেলে জেএমআইতে শুরু হওয়া নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রতিহত করতে দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীর দরকার কেন পড়ল? তাদের আরও অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জোর করে প্রবেশ এবং পুলিশ কর্তৃক টিয়ারগাস শেল ব্যবহারের পাশাপাশি লাঠিচার্জ করা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের উপর।

চিকিত্সা ও আইনী সহায়তা ছাড়াই একাধিক শিক্ষার্থীকে কয়েক ঘন্টা ধরে আটক করা হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর নৃশংস পুলিশী কর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দার জন্য রাস্তায় নেমেছে।

সোমবার প্রধান বিচারপতি বোবদের সামনে জাইসিং ও গনসালভেসের দ্বারা সু-মোটো অ্যাকশনের জন্য বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। বোবদে বলেছিলেন যে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত হওয়ায় এপেক্স কোর্টের ক্ষমতা সীমিত ছিল, এবং এ বিষয়ে শুনানি তখনই হবে, যখন দাঙ্গার ব্যাপ্তি স্তিমিত হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here