শ্যামল রায়, নবদ্বীপঃ
শিক্ষকের কাছে সংস্কৃত প্রাইভেট পড়তে এসে কুপ্রস্তাবের শিকার হল এক ছাত্রী। অভিযোগ ওই ছাত্রীকে লাগাতারভাবে মোবাইল ফোনে মেসেজ করে এবং প্রাইভেট পড়তে আসলে নানান ধরণের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত ঐ প্রাইভেট শিক্ষক। বৃহস্পতিবার অভিযোগের ভিত্তিতে নবদ্বীপ থানার পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে এবং আদালতে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই শিক্ষকের নাম স্নেহাশিস রায়। বাড়ি নবদ্বীপ শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওলাদেবী তলায়।
ছাত্রীর মা নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে যে নবদ্বীপের হিন্দু স্কুল প্রাঙ্গণসহ বৈদিক শিক্ষা কেন্দ্রে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ান স্নেহাশিস রায় নামে ঐ শিক্ষক। অভিযোগ ওই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে নিয়মিতভাবে মেসেজের মধ্যে দিয়ে নানান ধরণের অশালীন কথাবার্তার মাধ্যমে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল কিন্তু মেয়েটি আত্মসম্মানবোধে প্রথমে কিছু জানাতে পারেনি ।ওনার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে, শিক্ষককে এর প্রতিবাদ করলে তিনি নানান ধরণের হুমকি দিত ৷
আরও পড়ুনঃ হাথরাস যাওয়ার সময় তৃণমূল প্রতিনিধিদলের পথ আটকাল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ
কিন্তু দীর্ঘ দিন এই নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রীটি শিক্ষকের কুকর্ম ফাঁস করে দেয় ৷ মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায় ৷ তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ৷ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ছাত্রীটির পাশে এসে দাঁড়ায় ৷ অবশেষে মেয়েটির মা নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতেই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয় ।
আরও পড়ুনঃ তমলুকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাইক আরোহী
শিক্ষকরা যে এরকম বিকৃত মানসিকতার হতে পারে তা অজানা ছিল ঐ ছাত্রীর কাছে ৷ শুধু তাকেই নয় , বহু ছাত্রীর সাথে এই ধরণের আচরণ এবং কুপ্রস্তাব দিত বলে অভিযোগ করে ঐ ছাত্রী। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ার জন্য অন্যান্য সকলকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান ও জানায় ঐ ছাত্রী ৷
তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, তিনি কখনোই বিনা সম্মতিতে কুপ্রস্তাব দিতেন না। সত্য উদ্ঘাটন হলে অনেক কিছুই ধরা পড়বে। তিনি আর ও জানান তার বিরুদ্ধে ইচ্ছে করে চক্রান্ত করেছে ওই ছাত্রী এবং তার পরিবার।
নবদ্বীপ থানার পুলিশ জানিয়েছে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584