শান্তনু পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
৪১ দিনের পর উদ্ধার গৃহবধূর পচাগলা মৃতদেহ।বাড়ির ভিতরে দেওয়া কবর থেকে কফান বন্দি দেহ উদ্ধার করল কুল্পি থানার পুলিশ।ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতের নির্দেশে উদ্ধার হয় দেহ।অস্বাস্থ্য কর পরিবেশের কারনে মৃতার দেওরপো অরফে অভিযুক্তের ভাই রাজা সেকের আবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।পরে কোটের দ্বারস্থ হয় পুলিশ।কোটের নির্দেশে কূল্পি বিডিও ম্যাজিস্টেট সঞ্জীব সেন আইও থানার আইসির নির্দেশে খনন করে উদ্ধার করা হয়।
পরে মৃতদেহটি মুসলিম সম্প্রদায় মতে কবরে শেষ কৃত্ত সমাপ্ত করা হয়।খুনের অভিযোগে আগেই স্বামি ও শ্বাশুড়ি গ্রেপ্তার হয়েছে।অভিযোগ সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে মৃত গৃহবধূকে শ্বশুড় বাড়িতে সাত আটটি গ্রামের লোক মিলে কবর দেয়।মৃতার বাপের বাড়ি পরিবারের দাবি প্রায়ই টাকা আনার চাপ দিত। ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০ হাজার টাকার জন্য দাবি করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।এর পর খবর যায় রইসনারা আত্মহত্যা করেছে।পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
তবে আত্মহত্যার কথা অস্বীকার করেছে বাপের বাড়ির লোকজন। উত্তেজিত জনতা ঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি ময়নাতদন্তের পর মৃতার দেহ শ্বশুর বাড়িতে পুঁতে দেয়।এই ঘটনায় স্বামি বাদশা সেক ও বাদশা সেকের মাকে গ্রেপ্তার করে।বেশ কিছুদিন পর বাদশার ভাই রাজা পুলিশের কাছে আবেদন করে বলে বাড়িতে লুটপাট,বেআইনি ভাবে কবর দেওয়ার কথা।পরে পুলিশ রাজা শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে কোটে দারস্ত হন।কোর্টের নির্দেশে পুলিশ বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনায় আজ সকাল থেকে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনি।দেখাশোনা করে ছমাস আগে বিয়ে হয় বাদশার রইসনার।পণ নেয়নি টোটো চালক বাদশা,কিন্তু প্রায় ঝামেলা হতো টাকা পয়সা চাওয়া নিয়ে,দাবি মৃতার বাপের বাড়ি লোকজনের।অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।তবে মৃতদেহ বাড়িতে পোঁতা নিয়ে অন্যায় শিকার মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ দা দিয়ে শ্বাশুড়িকে খুন করল বৌমা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584