পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
যুবক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বীরভূমের সাঁইথিয়া শহরে।পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এই মৃত্যুর ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান।তদন্তে নেমেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সাঁইথিয়া থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারি পারার একটি পুকুরের ধারে আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান যুগলের মৃতদেহ।পুকুরের ধারে একটি ছোট জঙ্গলে যুবক ঝুলন্ত অবস্থায় এবং ঠিক তার নিচে আর এক যুবতী মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একই জায়গায় দুজনের মৃতদেহ দেখে তারা সাথে সাথে খবর দেন সাঁইথিয়া থানায়। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ এসে ওই যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করে সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।মৃত ওই যুবকের নাম রাজু দাস(৩৫), যার বাড়ি সাঁইথিয়ার থানার মাজিগ্রাম এবং যুবতীর নাম রুপা দাস(২৭),তিনি সাঁইথিয়ার দুই নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাথমিক অনুমান দুজনের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার কোন সম্পর্ক ছিল, যার জেড়ে সাংসারিক অশান্তির জেড়ে তারা এমন পথ বেছে নেয়।যে অবস্থায় মৃতদেহ দুটি উদ্ধার হয়েছে তাতে অনুমান করা হচ্ছে ওই যুবতীকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং ঠিক তারপরই যুবক রাজু দাস নিজের শরীরে থাকা মাফলার গলায় জড়িয়ে গাছে ঝুলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।ঘটনায় আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের বক্তব্যে।জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবক রাজু দাস বিবাহিত। সে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো।আবার অন্যদিকে মৃত রুপা বিধবা সে রাজুর কাছেই যোগানের কাজ করত।সাংসারিক রাজু এবং বিধবা রুপার মধ্যে পরকিয়া কোন সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকার ফলেই তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল।বছরখানেক আগে রূপার স্বামী ও আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছে। তাদের দুজনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ওই আত্মহত্যা ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকে দুজনের মধ্যে সমস্যা লেগেই ছিল। স্থানীয়রা বসে মিটমাটের চেষ্টা করলেও তা হয়নি। তার জেরেই এই যুগল আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে অনুমান পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় কাউন্সিলর শিবনাথ হাজরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই জনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।বেশ কয়েকবার ওদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল।আমরা বসে মিটমাট করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584