পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বাড়ির মধ্যে জেঠুর মৃতদেহ আগলে রাখল ভাইপো। ঘটনায় হতবাক সিউড়ি শহরের বাসিন্দারা। তবে বাড়ির মধ্যে থেকে বাঁশের মাচা উদ্ধার হওয়ায় দেহ পুড়িয়ে ফেলার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিলো বলেও জল্পনা তুঙ্গে।
জানা গেছে, সিউড়ির পাঁচের পল্লীর বাসিন্দা মৃতের নাম অপূর্ব মন্ডল(৬৫)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন অবিবাহিত অপূর্ব মন্ডল, তার ভাই নির্মল মন্ডল, নির্মল মন্ডলের স্ত্রী ও দুই ছেলে পাঁচের পল্লী বাড়িতে বসবাস করতেন। যেহেতু তারা বছর পাঁচেক আগে বাড়িটি কিনেছিলেন তাই পাড়ার অন্যান্য পুরনো বাসিন্দাদের সাথে সেরকম যোগাযোগ ছিল না। নির্মলবাবুর বাড়ি থেকে বুধবার তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পরে পাড়ায়। প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে দেখতে পায় অপূর্ব মন্ডলের মৃতদেহ। খবর দেওয়া হয় সিউড়ি থানার পুলিশকে।
পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । এই নিয়ে অপূর্ব মন্ডলের বড় ভাইপো কিয়ক মন্ডলের দাবি, দিন পাঁচেক আগে তার বাবা নির্মল মন্ডল ও মা এবং দাদা বাইরে গেছেন। তাই তিনি এবং তার জেঠু বাড়িতে ছিলেন। মঙ্গলবার দিন কোন কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাড়ির লোকদের খবর দিয়েছেন। তবে পুলিশ বা পাড়া প্রতিবেশীকে কিছুই জানান নি।
পাড়া-প্রতিবেশী পুলিশকে জানানোর মতো বোধবুদ্ধি তার নেই। তবে তিনি কেন জানাননি পুলিশ বা অন্য কাউকে। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান চার থেকে পাঁচ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। কারণ মৃতদেহ থেকে প্রচন্ড পরিমানে দুর্গন্ধ উঠছিল। সেদিক থেকে প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন ভাইপো কিয়ক মন্ডল জেঠুর মৃতদেহ আগলে ছিল।
আরও পড়ুনঃ স্কুটির ধাক্কায় মৃত্যু ব্যবসায়ীর
তবে বাড়িতে বাঁশের মাচা উদ্ধার হওয়ায় লুকিয়ে মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিনা তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
সিউড়ি থানার পুলিশ কিয়ক মন্ডল ও তার এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584