নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
কেউ বা কারা ফের জঙ্গলমহলকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে প্রকারান্তরে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কর্মী চন্দন ষড়ঙ্গী খুনের প্রতিবাদে এক সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।
তার আগে নিহত চন্দনের স্ত্রী শ্যামলী ষড়ঙ্গী ও ছেলে নীলাঞ্জন ষড়ঙ্গীর হাতে দলের পক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা তুলে দেন। ১৮ বছর বয়স হলে নীলাঞ্জনের দায়িত্বও তিনি নেবেন বলে এ দিন প্রতিশ্রুতি দেন শুভেন্দু। দুবড়ার রাবণপুরা ময়দানে এ দিন সভা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাম আমলে মাওবাদী তাণ্ডব চলার সময় এই এলাকায় প্রায় ছ’মাস গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। বাজার হাট বসতো না। মাদল বাজতো না করম , বাদনা, টুসু পরবের। ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’হাত ভরে উন্নয়ন করেছেন। এত কলেজ, আইটিআই, ইউনিভার্সিটি, সেতু। তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু বিজেপি এখন কথায় কথায় রাজ্য জুড়ে অশান্তি তৈরি করছে। বনধের দিন ৫৫ টা বাস ভেঙেছে, আগুন দিয়েছে। এরমধ্যে ৪০টা সরকারি বাস। এই পরিস্থিতি হবে বলে আমি আমার চার হাজার ড্রাইভারকে হেলমেট পরে গাড়ি চালাতে বলেছিলাম। তাই শুধু বাসের কাঁচ ভেঙেছে। কারও মাথা নয়।”২৮ আগস্ট ঝাড়গ্রামের সত্যাডিহিতে রাস্তার ধারে ধানের ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছিল চন্দন ষড়ঙ্গীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। এই খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। সেদিনই ২৮ শে আগস্টের ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে নেমে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে যান ঝাড়গ্রাম।
চন্দনের পরিবারের পক্ষ থেকে আটজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় ঝাড়গ্রাম থানায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তাপস মল্লিক, বংশী সিং, ঝন্টু পাইন, ভীম সরেন, নিতাই হাটুই, মিঠুন খামরি সহ ছয় অভিযুক্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাপস এলাকার পরিচিত সিপিএম কর্মী। বাকি পাঁচজনের পরিচিতি বিজেপি কর্মী হিসেবেই। ২০০২ সালে চন্দনের বাবা কংগ্রেস কর্মী মোহিনী মোহন ষড়ঙ্গীকে পু়ড়িয়ে মারার ঘটনাতেও অন্যতম অভিযুক্ত ছিল তাপস মল্লিক।
আরও পড়ুনঃ রোগী মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584