নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
শুভেন্দু অধিকারীর মুর্শিদাবাদে প্রবেশের পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। মুর্শিদাবাদ সফরে এসে একের পর এক বন্ধ ঘরে একজোট হয়ে চলছে সীমিত কিছুজনকে নিয়ে মিটিং। প্রয়াত জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন মন্ডলের মৃত্যুর পর তাকে ঘিরে সেইভাবে কোনরকম স্মরণসভা করা হয়নি।
হঠাৎই সভা করার আয়োজন করা হয়। প্রথমে ঠিক ছিল খড়গ্রামের নগরে হবে, পরে জায়গা বদলে মাড়গ্রাম হাই মাদ্রাসার মাঠে করা হয় সভা। শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি সত্ত্বেও কোনরকম জেলার শীর্ষ নেতৃত্বদের দেখা যায়নি। এমনকি খড়গ্রামের বিধায়ক আশিষ মার্জিতও সেই স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন না। কেবলমাত্র উপস্থিত ছিলেন গৌতম রায়, জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেন এবং উপ সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস সহ স্থানীয় কিছু কর্মীগণ। এই স্মরণ সভা কে ঘিরে দলমত নির্বিশেষে বেশ কিছু কথা উঠে আসে।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক বাজার পরিদর্শন পুলিশ কর্তাদের
একদিকে মোশারফ হোসেনের পক্ষ থেকে জানানো হয় সেখানে কোনো রকম দলীয় ব্যানারের নিচে সভাটি হবে না, এটি একটি স্মরণ সভা উপলক্ষে হবে। সেইসঙ্গে এমন কথাও রাজনৈতিক তরজায় রয়েছে সম্ভবত খুব শীঘ্রই শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করতে চলেছেন সঙ্গে থাকছেন ওনার এই জেলার অনুগামীরা। এক প্রকার দলের মধ্যে একটি ভাঙ্গনের আভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের আভাসে অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে জানান, শুভেন্দু বিজেপি তে যাবে কি যাবে না সেটা সম্পূর্ণ ওনার নিজস্ব বিষয়। তবে তৃণমূল থেকে বেরিয়ে কংগ্রেসে যোগদান শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘২০০ টির বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি’, হলদিয়াতে মন্তব্য দিলীপের
তৃণমূল দল আসলে ‘ওয়ান ওমেন পার্টি’। সিপিএম-র বিরোধিতা করতেই এই দলের জন্ম হয়েছিল। তাদের পরাজিত করা হয়ে গেছে। ফলে এই মুহূর্তে তৃণমূলের আর কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। শুভেন্দুবাবুর এও জেনে রাখা উচিৎ ওনার অনেক আগে থেকেই দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পিঁড়ি পাতা রয়েছে বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের কাছে। অবশ্য লক্ষনীয় বিষয় এই যে সভায় ছিলেন না খড়গ্রামের বিধায়ক আশিষ মার্জিত। ওনাকে জিজ্ঞাসা করায় জানান, বিশেষ কাজে তিনি বাইরে আছেন। সভার সম্পর্কে আগে থেকে জানা ছিল না তাই তিনি আসতে পারেননি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584