উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
আবার কংগ্রেস ভাঙবার সম্ভবনা। এক মাস আগের মত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের গতকাল (রবিবার) দেখা করলেন প্রয়াত কংগ্রেস সভাপতি সোমেন জায়া প্রাক্তন বিধায়ক শিখা মিত্রের সঙ্গে।
এ বিষয়ে সোমেন পুত্র রোহণ মিত্র বলেছেন, “গতকাল রাতে আমার ও মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মা কে কিছু বলেছেন। তবে মা এবিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। কারণ আমার মেজ পিসি সদ্য মারা গেছেন। আমরা এবিষয়ে ব্যস্ত রয়েছি।“
তবে একদিন আগেই রোহণ মিত্র টুইট করে জানিয়েছিলেন, “উত্তর কলকাতায় কোনও আসন জোট থেকে না নিয়ে উত্তর কলকাতা থেকে কার্যত কংগ্রেস মুছে দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেসের আচরণে ক্ষুব্ধ সোমেন মিত্রের পরিবার।
তাহলে এবার কি বিজেপির পথে শিখা-রোহন? সেই জল্পনাই নতুন করে শুরু হল রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তাঁরা।
সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর কংগ্রেসের সঙ্গে এতদিনের সম্পর্কের সুতো কোথায় আলগা হয়ে গেল? তাহলে কি তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন? প্রশ্ন ঘনিয়েছে ভোটমুখী রাজনীতিতে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি আধিকারিকদের বাঁশ দিয়ে পেটানোর নিদান বিজেপি মন্ত্রীর
ইতিমধ্যে, শুভেন্দু অধিকারির সঙ্গেও দেখা করেছেন সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র ও রোহন মিত্র। তবে এখনই দলবদলের প্রসঙ্গে খোলসা করে কিছু বলেননি তাঁরা। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে যে তিক্ততার দিকে চলে গিয়েছে তা জানিয়েছেন।
শিখা মিত্র বলেন, “আমাদের কাছে একটা খবর ছিল, সোমেন মিত্রর লোকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনও কিছুই হয়নি। হঠাৎ করে এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করে। আমি অবাক হয়ে যাই, যাঁরা সোমেন মিত্রর জন্য আজকে এখানে এসেছেন, যাঁদেরকে লালন পালন করেছেন, তাঁরা দেখছি পদ পেয়ে খুব বাজে ব্যবহার করছেন। এটা কেন, কী জন্যে, আমি জানি না।“
আরও পড়ুনঃ হাবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী বদল
কারা করছেন এমনটা? প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “আমি নির্দিষ্ট করে কারর নাম বলতে চাই না। যাঁরা এখন কংগ্রেসের হর্তা-কর্তা-বিধাতা, তাঁরাই একাজ করছেন। এই ঘটনা খুবই দুঃখের আমার কাছে।“
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, “শিখাদি আমাদের শ্রদ্ধার দিদি। আমাদের সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক। আমি কংগ্রেসে যখন ছিলাম, তখনও শিখাদির সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। এখনও আছে। কিছু মানুষ আছেন যাঁরা রাজনীতির জন্য রাজনীতিতে আসেন না। যে সাধারণ মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্য রাজনীতি করেন। শিখাদি এরকমই একজন মানুষ। তাঁকে যে অপমান সহ্য করতে হয়েছিল তৃণমূলে, সেটাও আমরা জানি। পরবর্তীকালে কংগ্রেসে যে অপমানিত বোধ করছেন, সেটা খুবই দুঃসংবাদ। মানুষের জন্য কাজ করার ভাবনাচিন্তায় যদি তিনি বিজেপিতে আসতে চান, তাহলে তাঁর চেয়ে আর ভালো কী হতে পারে। শিখাদিকে স্বাগত জানাই বিজেপিতে।“
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584