নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
সামনেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন।নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে জেলা জুড়ে ততই চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।মিটিং থেকে মিছিল কোনোদিকেই পিছিয়ে নেই জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি।
এর মাঝেই রবিবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিরোধীদের পাঁচ লক্ষ ভোটে হারানোর কথা ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন তথা পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।তিনি জানান,“আমরা বাই ইলেক্সানে ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলাম কিন্তু এবার আমরা ৫ লক্ষেরও বেশি ভোটে বিরোধীদের হারাবো।”এদিনের এই জনসভা প্রকৃত পক্ষে নির্বাচনী প্রচারকে উপেক্ষা করে করা হলেও এদিনের জনসভার নামকরণ করা হয় যোগদান সভা নামে।
চৈতন্যপুরে এদিনের এই জনসভা মঞ্চ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তণ জেলা কার্যকরী সভাপতি পার্থ বটব্যাল সহ একাধিক বাম-বিজেপি-কংগ্রেস কর্মী তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগদান করেন।যোগদান প্রসঙ্গে শুভেন্দুবাবু বলেন,“নির্বাচনের আগে দল আরও হিস্ট পুষ্ট হল।যোগদানকারী কর্মীদের এইরূপ সৎ সাহসের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।”চলতি লোকসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিরোধীদলগুলির মধ্যে এইরূপ ভাঙনের কারণ কি তা জানার জন্য এখন কোমরে গামছা বেঁধে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছেন বিরোধীদলের নেতারা।তবে ভোটের আগে আরও বহু বিরোধী দলের নেতা তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগদান করবে বলে জানান এক যোগদানকারী কর্মী।কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদানকারী কর্মী পার্থ বটব্যাল বলেন,“আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি চলতি লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও বহু রাজনৈতিক নেতা তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগদান করবে।”তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়িয়েছেন কীর্ত্তনশিল্পী তথা নবদ্বীপের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ নষ্কর।এদিনের মঞ্চ থেকে প্রার্থী সিদ্ধার্থকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দুবাবু।
তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন,“তমলুকের মানুষ কোনো সার্টিফিকেট আনতে নবদ্বীপে যেতে পারবেনা।তাই সিদ্ধার্থবাবু আপনি ভালো করেই কীর্ত্তন করুন।আমিও ভালো করে কীর্ত্তন করাতে পারি।” গত কয়েকদিন আগেই কংগ্রেসে যোগদান করেছেন জেলার এককালের দাপুটে সিপিএমের নেতা তথা তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মন শেঠ।তিনি চলতি নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র থেকে জাতীয় কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রার্থীও হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ কুৎসা অপপ্রচার ছেড়ে উন্নয়নের নিরিখে ভোট প্রচারের বার্তা দেবের
তাই এদিন শুভেন্দুবাবু লক্ষ্মন শেঠকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন,“গত কয়েক লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের তরফ থেকে যতজন প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের থেকে বহু ভোটে আমরা লক্ষ্মন শেঠকে হারাবো।”
সবমিলিয়ে এখন জমজমাট জেলার রাজনৈতিক ময়দান।কে দখল করে তমলুকের সাংসদ আসন সেদিকেই নজর সকলের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584