নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সংবিধানের দশম তফসিল উল্লেখ করে দাবি তোলেন, স্বপন দাশগুপ্তের সাংসদ পদ খারিজের। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেন বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত। বঙ্গ ভোটে একের পর এক রঙ্গ। বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় হুগলীর তারকেশ্বর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
কিন্তু সংবিধানের দশম তফসিল অনুযায়ী রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সাংসদ শপথ নেওয়ার ছয় মাস পর কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে খারিজ হয়ে যায় তাঁর সাংসদ পদ। এবিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস দাবি জানিয়েছে স্বপন দাশগুপ্তের সাংসদ বাতিলের। প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন স্বপন দাশগুপ্ত। গত কয়েকদিন ধরে এই সাংসদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি জানিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ টিকিট না পেয়ে কার্যালয়ের সামনে মাথা ন্যাড়া করে অভিনব প্রতিবাদ কংগ্রেস নেত্রীর
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইট করে স্বপন দাশগুপ্তের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করেন। সংবিধানের দশম তফসিল অনুযায়ী একজন মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ শপথ নেওয়ার ছয় মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন তাহলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। এই নিয়মকে হাতিয়ার করেই বিধানসভা ভোটে স্বপন দাশগুপ্তের প্রার্থী হওয়ার তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস- সহ অন্য বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ জামিন নিতে প্রথমবার আদালত মুখো হলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা
এরপরেই বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ে নামার আগে মঙ্গলবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। ২০১৬ সালের এপ্রিলে শপথ নেন তিনি। তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584