সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ-
পরিকল্পনা করে বিভিন্ন এলাকায় গাছ লাগানোই তাঁর শখ। এভাবেই নীরবে সবুজায়নের কাজ করে চলেছেন বর্ধমানের মানকরের নায়েক পাড়ার বাসিন্দা স্বরাজ চৌধুরী।
স্বরাজবাবু বলেন, বর্তমানে গাড়ি–ঘোড়া বাড়ছে। গাছ কেটে রাস্তা বাড়ানো হচ্ছে অথচ তার পাশে কোনও গাছ লাগানো হচ্ছে না। আমার মনে হয়েছে আমরা যেভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করি, তাতে যদি কিছু গাছ অন্তত লাগাতে পারি তাহলে পরিবেশের পক্ষে ভাল হবে। এক্ষেত্রে বট সব থেকে উপকারী কারণ বট একটা বৃহত্তম গাছ। এই গাছের অসংখ্য চওড়া পাতা অনেক বেশি অক্সিজেন দিতে সক্ষম। কিন্তু স্থানাভাবে বট গাছ লাগানো সম্ভব না হলে ছোট চারা কিংবা ফুল গাছ লাগাই। বর্ধমানে এক বেসরকারি ব্যাংকে স্বল্প বেতনের চাকরী করেন তিনি। মাইনের টাকায় চারা কেনা থেকে গাছের পরিচর্যা সবই করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা ভোলানাথ ব্যানার্জী বলেন, জঙ্গল পরিস্কার করে ফুলের গাছ লাগাতে দেখছি ওনাকে। স্বরাজবাবু বলেন, বর্তমানে যেভাবে দূষণ বাড়ছে তাতে প্রত্যেকেরই উচিৎ গাছ লাগানো বিষয়টি সচেতন ভাবে পালন করা। স্বরাজবাবু ছাড়াও বর্ধমানের নাদন ঘাট রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরাজির শিক্ষক এলাকায় পরিচিত ‘গাছ মাস্টার’ নামে। গাছের প্রতি প্রেম, এ যুগের দুই দৃষ্টান্ত, বর্ধমানের দুই মানুষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584