শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
হয় সম্মানজনক মাসিক ভাতা বাড়িয়ে সমাজে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আত্মহত্যা করার অনুমতি প্রদান করুন।
আজ দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারীরা এই দাবীতে সরব হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ডাক মারফৎ নিজ নিজ খামে চিঠি দিল। বৃহষ্পতিবার বালুরঘাট শহরের প্রধান ডাকঘরের সামনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হন জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারীরা।
এরপরেই তারা তাদের এই মাজ্ঞিগন্ডার বাজারে বেঁচে থাকার জন্য মাসিক সাম্মানিক ভাতা বাড়িয়ে তাদের আত্মহত্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট তাদের দাবী ডাকযোগে প্রেরণ করেন। নিজ নিজ এলাকার তারা কোন গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মরত ও তাদের কাজের বর্ননা ওই আবেদন পত্রে লিপিবদ্ধ করে তা খামে পুরন করে ডাক বাক্সে ড্রপ করেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের কর আদায়কারীদের সম্পাদক বৈদ্যনাথ সেন অভিযোগ জানিয়ে বলেন দীর্ঘ দিন ধরে তারা তাদের সাম্মানিক ভাতা বাড়িয়ে তোলার আবেদন জানানো সত্ত্বেও রাজ্য সরকার তাদের দাবীর প্রতি উদাসীন রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা নিয়ে ধন্ধে স্থানীয়রা
সেক্ষেত্রে এই অগ্নিমূল্য বাজারে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য তাদের এই সামান্য সাম্মানিক ভাতায় চলা খুব মুশকিল। এক্ষেত্রে তাদের পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ছাড়া ভিন্ন কোন পথ নেই।
সেই দিকে লক্ষ রেখেই তাদের সম্মানজনক ভাবে বাঁচার তাগিদে আজ তারা বাধ্য হয়ে এই আত্মহত্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট প্রত্যেকে ব্যাক্তিগত ভাবে ডাক যোগে আবেদন জানালেন।
তার আরও দাবী, তারা দীর্ঘ দিন ধরে ভাতা ৬০০ ও আনুসাঙ্গিক ইন্সেটিভ নিয়ে মাত্র ২,২০০ টাকা করে সারা মাস কাজ করে এই পেয়ে থাকেন। অথচ একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এখন ৯৬৫ টাকা। সেক্ষেত্রে এই সামান্য টাকায় কি ভাবে তারা পরিবার নিয়ে জীবন যাপন করে চলেছেন। তা শুধু তাদেরই জানা।
তিনি আরও জানান যদি এরপরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবীর প্রতি সহানুভূতিশীল না হন, তাহলে আমরা সংবাদ মাধ্যম ও জনবহুল জায়গায় প্রকাশ্যে নিজেদের আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব। এই বলে তিনি হুমকি দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584