নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
দীর্ঘ ১৬ মাস পর আলিপুরদুয়ারের ডানকানের পরিত্যক্ত বীরপাড়া চা বাগান পুনরায় খুলতে গিয়ে, ধাক্কা খেল ওই চা বাগানের এক দল শ্রমিকের তুমুল বিক্ষোভে।
ওই শ্রমিকদের দাবি বাগান খোলার আগে পরিশোধ করতে হবে শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ বকেয়া। বিক্ষোভের আগাম আঁচ পেয়ে দীর্ঘদিনের বন্ধ চা বাগান চত্ত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
মঙ্গলবার সকালের শুরুতে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা ও মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বীরপাড়া চা বাগানে হাজির থাকলেও বাগান খোলার মূল অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান তাঁরা।
নির্ধারিত কর্মসূচি থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বাগান খোলার ওই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ও আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।
আরও পড়ুনঃ প্ল্যাকার্ড হাতে একবুক জলে দাঁড়িয়ে শিক্ষকরা! সাক্ষী থাকল কালীঘাটের আদিগঙ্গা
শাসক দলের তরফে হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা সহ বাম ও কংগ্রেস ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা। রীতিমতো ধর্মীয় নিয়ম মেনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ডানকান পরিত্যক্ত বীরপাড়া চা বাগানের পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেন ম্যারিকো ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুনঃ ২০১৬ দেশদ্রোহিতা মামলায় কানহাইয়া উমর-সহ ১০ জনকে সমন দিল্লি হাইকোর্টের
সম্প্রতি শিলিগুড়িতে শ্রম দফতরের উদ্যোগে এক ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, বাগানের ২২০০ জন শ্রমিককে আগামী আট মাসের মধ্যে চার মাসের বকেয়া বেতন, একটি পুজো বোনাস মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বুঝিয়ে দেবে নতুন চা পরিচালন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে বাগান খোলার প্রথম দিনেই শ্রমিক বিক্ষোভ প্রকাশ্যে আসায় চা বাগানটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল। অথচ বিধানসভা ভোটের মুখে অচল চা বাগানটি খুলে দিয়ে একটি মাস্টার স্ট্রোক দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে বকেয়া পাওনার দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ সামনে আসায় রাজ্য সরকারের ওই উদ্যোগে ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584