সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
শিক্ষকের মারে আহত ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অলোক মণ্ডল(১২)। জানা গেছে, দুই ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি বাঁধে শ্রেণিকক্ষের মধ্যে। শিক্ষককে জানাতেই তিনি ওই ছাত্রছাত্রীর পরস্পরের মাথা ঠুকে, দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেন তাদের।
জানা গেছে, ভূগোল ক্লাসের শিক্ষক প্রশান্ত শেওয়ালি এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর থানার দুই নম্বর ষষ্ঠী তলার রোটারি রবীন্দ্র উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গ্রুপ কর্মী জানায় যে বাচ্চাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হওয়ার সময় শিক্ষক মহাশয় পরস্পরের মাথা ঠুকে দেন ঠিকই কিন্তু দেওয়ালে তিনি মাথা ঠুঁকে দেননি।
বিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক ও শিক্ষিকাকেই এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি। পঞ্চম পিরিয়ডের পরে সকলে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে চলে যান বলে জানা গেছে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় অলোক মণ্ডলকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে ছাত্রের অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন। এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণীর অলোক মণ্ডল কলকাতার ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত ছাত্রের পরিবারের লোকজন জানান যে যদি আমাদের ছেলে দুষ্টুমি করে তবে তাকে কান ধরে উঠবোসের শাস্তি বা গার্জেন কল করতে পারতেন ওই শিক্ষক, কিন্তু দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেওয়া ঠিক হয়নি।
পাশাপাশি উনি এও জানান শেষ পিরিয়ডে এমন ঘটনা ঘটায় বাইরে এসে বমি করতে থাকে ওই ছাত্র। এরপর অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের খবর দিতেই অলোক মণ্ডলকে শিক্ষকদের ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। এরপরেও তাকে ডাক্তার দেখানো বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বাড়ির লোক খবর পেয়ে তাকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অলোকের পরিবার জানান, আমরা চাই দ্বিতীয়বার যেন ওই শিক্ষক মহাশয় কারও সঙ্গে এই আচরণ না করেন। আমাদের বাচ্চার মতো যাতে কাউকে ভুগতে না হয়। আমাদের বাচ্চা এখনও আতঙ্কে রয়েছে। আমরা শিক্ষক মহাশয়ের শাস্তি দাবি করছি, বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584