নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
সোমবার রাতে হবিবপুর এলাকার বাসিন্দা সৌমদেব অধিকারীর বাবা মানস অধিকারীর এবি+ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজনে বিভিন্ন গ্রুপে ফেসবুক পোষ্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফরোয়ার্ড করেন মেদিনীপুর সদরের চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া।
‘ছত্রছায়া’নামে ফেসবুক গ্রুপে সেই পোস্টে সারা দিয়েছিলেন শালবনী ব্লকের পচাকুই এর বাসিন্দা নৃত্য শিক্ষক ও মিরগা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক উত্তম কুমার মাহাতো। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার সকালে এস এফ আই এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদির সূত্র ধরে মেডিক্যাল কলেজের হাউসস্টাফ ডাঃ রাজর্ষি দাস ও সৌম্যবাবুর পাড়ার জগদীশ দাস রক্ত দেওয়ায় মানসবাবুর রক্তের প্রয়োজন মিটে যায়। দুপুরে শিক্ষক নরসিংহ দাস মারফত সুদীপ বাবু খবর পান ঝাড়গ্রাম থেকে শিক্ষক প্রণব সাহু নির্ণয় হাসপাতালে ভর্তি। দুর্ঘটনায় আহত গড়বেতার উত্তরবিলের বাসিন্দা আরাবিল্লা খানের জন্য এবি+ রক্ত খুঁজছেন। সুদীপ বাবু তখন নরসিংহ বাবুর মারফত প্রণববাবুর কাছে উত্তম বাবুর মোবাইল নং পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। প্রণববাবু যোগাযোগ করেন উত্তম বাবুর সাথে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ নিজের ভাইপোকে সাথে নিয়ে বাইকে মেদিনীপুরের উদ্যেশ্যে রওনা দেন উত্তমবাবু এবং ২০-২২ কিমি পথ পেরিয়ে রক্ত দিয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান বালুরঘাটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
এই গোটা প্রক্রিয়ায় সাথে জড়িয়ে ছিলেন এস এফ আই নেতা প্রসেনজিৎ মুদি। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, রক্তের ঘোর সংকটের সময় রক্তের সম্পর্কের বাইরেও অচেনা মানুষ কে রক্তদিয়ে প্রাণ রক্ষা করতে এগিয়ে আসায় সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তমবাবু সহ অন্যান্য রক্তদাতাদের কুর্নিশ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বহু মানুষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584