প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ
সচেতনতা সার। মানুষ অযথা ভিড় এড়ানোর কোন চেষ্টাই করলেন না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলের বরাদ্দ চাল ও আলু দিতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হলেন স্কুলগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা।
ছাত্র ছাত্রীদের চাল ও আলু নিতে নিষেধ করা সত্ত্বেও অভিভাবকরা সঙ্গে করে তাদের শিশুদের স্কুলগুলিতে নিয়ে এলেন। কোন রকম সর্তকতা ছাড়াই এদিন জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে এই ছবি দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সংক্রমন রুখতে বালুরঘাট পুর এলাকায় লক ডাউনকে সমর্থন সর্বস্তরে
জেলার হাইস্কুলগুলিতে তো অভিভাবকরা নয়, খোদ হাজির হয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষকরা অভিভাবকদের বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা অযথা ভিড় এড়ানোর কোন চেষ্টা করেননি। সরিয়ে দেননি সঙ্গে নিয়ে আসা প্রাথমিকের শিশুদেরও।
রাজ্য সরকারের নির্দেশে করোনা ভাইরাসের জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকাকালীন পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে আলু ও চাল বন্টনের অর্ডার দিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই নির্দেশ পৌঁছানোর পর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরের তরফে যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে মিড ডে মিল সরবরাহ করা হয় সেখানে তা কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, প্রতিটি পড়ুয়ার অভিভাবককে দুই কেজি চাল এবং দুই কেজি আলু দিতে হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার এবং রবিবার দুইদিন অভিভাবক এবং অভিভাবিকাদের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ চাল বিলি নিয়ে চিন্তায় স্কুল
এই দুই দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শিক্ষকরা স্কুলের রেজিস্টারে থাকা ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করেন। তবে অনেক ফোন অকেজো হয়ে যাওয়ার ফলে ফোন করে কোনভাবেই অভিভাবকদের এই কর্মসূচির কথা জানানো যায়নি বলে খবর।
পাশাপাশি এদিন দূর-দূরান্তের জায়গা থেকে অনেক পড়ুয়ারা বিদ্যালয় আসে। তাদের খবর দেওয়ার ক্ষেত্রেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা চরম সমস্যায়। কিছু স্কুলের প্রাথমিক স্কুলের সামনে এবিষয়ে ব্যানার টাঙিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল।
সোমবার অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দুকেজি করে আলু এবং চাল। এক্ষেত্রে যাতে বিদ্যালয়ে বেশি জমায়েত না হয় সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের নজর রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকদের কথা অভিভাবকরা মানেননি বলে অভিযোগ।
প্রত্যেকে তাড়াতাড়ি চাল ও আলু পেতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পাশাপাশি চাল এবং আলু বন্টনের সময় বিদ্যালয়ে হ্যান্ডওয়াশ রাখা হয় সে বিষয়েও নজর রাখা হয়েছিল। তবে অভিভাবকদের অযথা ভিড় এড়ানো যায়নি। তবে জেলার প্রায় সমস্ত প্রাথমিক ও হাই স্কুলগুলিতে নিয়ম মতোই চাল ও আলু বিতরন করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584