নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের ঢেংবহড়া শশীভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের ছাদ থেকে খসে পড়ল চাঙড়! আহত হলেন তিন-চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের এক তলায়, স্টাফ রুমে আজ সকাল ১১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। একজন শিক্ষকের মাথায় চাঙড়ের টুকরো পড়ায়, তাঁর আঘাত গুরুতর বলে জানা গেছে। তাঁকে নিকটবর্তী ভীমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বাকি আরও দু’জন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা শরীরে অল্পবিস্তর চোট পেয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে।

কিন্তু, সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজনের একটাই দুঃশ্চিন্তা, যদি কোনও শ্রেণিকক্ষে এই ঘটনা ঘটতো, তাহলে তো আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত! শিক্ষক শিক্ষিকারা মিলিতভাবে এই নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থার দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। লিখিতভাবে তাঁরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। খবর পেয়ে দুপুর ১ টা নাগাদ বিদ্যালয়ে পৌঁছান, ডি আই (জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক) চাপেশ্বর সর্দার।

আরও পড়ুনঃ হরিহরপাড়ায় স্থানীয় যুবকদের হাতে আক্রান্ত পুলিশকর্মী
প্রসঙ্গত, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ এর ২০১৮-‘১৯ অর্থ-বর্ষের আর্থিক আনুকূল্যে এই ভবনটি নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে লকডাউন চলাকালীন, ২০২০ এর সেপ্টেম্বর মাসে। স্বভাবতই, মাত্র ৫ মাসের মধ্যে চাঙড় ভেঙে পড়ায়, সংশ্লিষ্ট সকলেই নির্মাণকার্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, এই ভবন নির্মাণ কার্যের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ভাবেই যুক্ত ছিল না, সমস্ত কাজ দেখাশোনা করা হয়েছে এসডিও, বিডিও এবং শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির তরফে।
আরও পড়ুনঃ দাসপুরে পুকুর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
এই ভবনের নির্মাণকাজে প্রথম থেকেই সন্তুষ্ট ছিলেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ তথা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার ভট্টাচার্য। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে, ২০২০ এর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের সঙ্গে তাঁর একবার কথা-কাটাকাটিও হয়েছিল বলে জানা গেছে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাধ্যমে। এ নিয়ে, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে কাজ খতিয়ে দেখতে উপস্থিতও হয়েছিলেন একবার। তারপর, তড়িঘড়ি করে লকডাউনের মধ্যে কাজ শেষ করায়, কোনও দেখভাল হয়নি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584