পুজোর ছুটিতে ঝুড়ি কোদাল হাতে বিদ্যালয় সংস্কারে শিক্ষকরা

0
564

অর্ধেন্দু বিশ্বাস,মুর্শিদাবাদঃ

তিন দিকে সবুজে ঘেরা মাঠ।পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বিশাল জলাশয়। সামনে কালি মন্দির। এরই মধ্যে অবস্থিত শিশুদের শিক্ষার মন্দির সারগাছি চক্রের অন্তর্গত নওদা মহাকালি বিভূতি ভূষণ প্রাথমিক বিদ্যালয়।ছুটিতে যখন সমস্ত শিক্ষকরা বাইরে ছুটি কাটাচ্ছেন তখন চার জন শিক্ষকের মধ্যে এক জন কোদাল দিয়ে মাটি কাটছেন,প্রধান শিক্ষক মাটি বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আর বাকি দুজন রং করছেন গাছের ব্যারিকেড।

রং করা হচ্ছে গাছের ব্যারিকেড। নিজস্ব চিত্র

চলছে বৃক্ষরোপন ও বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যায়নের কাজ।আর অর্থের যোগান বলতে নিজেদের বেতনের টাকা থেকে।এত সুন্দর সাধনার পরিবেশ যেন ক্ষুদ্র শান্তিনিকেতন।বিশুদ্ধ পানীয় জল, পরিচ্ছন্ন শৌচাগার ,স্বাস্থ্যকর মিড ডে মিল, পর্যাপ্ত শিক্ষক,ক্লাসরুম,টিএল এম,খেলার মাঠ সবই আছে কিন্তু যাদের জন্য এত সব আয়োজন সেই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র একান্ন।এটা নিশ্চয় অবাক করার মতো বিষয়।

প্রধান শিক্ষক মাটি বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নিজস্ব চিত্র

তবে তার কারণ টা অবশ্য জানা গেল প্রধান শিক্ষক সুকুমার সাহা ও পূর্ববর্তী ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী শান্তনু বিশ্বাসের কথা থেকে।তাদের কথায় চৈতন্যপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি গ্রাম নওদা ও কানাইনগর।গ্রাম থেকে শিশুরা এখানে পড়তে আসে কিন্তু কানাইনগর থেকে আসার রাস্তা একেবারে অচল।বর্ষার সময় পুকুরে পরিনত হয় এই রাস্তা।রাস্তার পাশেই বিশাল জলাশয়।বর্ষার সময় জলাশয় ও পুকুর একাকার হয়ে যায়।যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।কাদাজল উপেক্ষা করে বিস্তীর্ণ চাষের জমি পেরিয়ে স্কুলে আসতে হয় পড়ুয়াদের।যেটা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।আবার নওদা থেকে আসার রাস্তারও প্রচন্ড বেহাল অবস্থা।যদিও কিছুটা ঢালাই হয়েছে কিন্তু এখনও অনেকটা অসুম্পর্ণ।

ফলে শিশুরা আসতে পারেনা আর অভিভাবকরাও তাদের ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠাতে রাজী নন।ফলত তারা তাদের শিশুদের অনেক দূরে বেসরকারি স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে।প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করেও বিশেষ লাভ হয়নি।ফলে দিন দিন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।রাস্তার উন্নতি হলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদী ওই চার জন শিক্ষক।এ বিষয়ে অভিভাবকদের ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন প্রধান শিক্ষক।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here