নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
করোনা আবহে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় এবার কলকাতা, যাদবপুর সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে কলেজ – বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এই বছর শেষ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে পরীক্ষার দিন ঘোষণা হওয়ার পরেও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করেছে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।
প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ আইসি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞানের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ উঠেছে প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের।
আরও পড়ুনঃ আগামী ২৬ জুলাই শহরজুড়ে বন্ধ থাকবে ট্যাক্সি ও অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা, দাবি ভাড়াবৃদ্ধির
এবার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রবিবার কলকাতা, যাদবপুর, বর্ধমান, কল্যাণী, বিদ্যাসাগর এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রবেশিকা পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নেবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আরও পড়ুনঃ “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে”! হাইকোর্টে ৫৬.৯ শতাংশ বিচারপতির শূণ্যপদে নিয়োগে অনীহা কেন্দ্রের
শিক্ষার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যদি সরকারি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করা। শুধু তাই নয়, শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের পক্ষেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এই ধরণের সিদ্ধান্ত। উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশে মেধাই অগ্রগণ্য হওয়া উচিত। কোন পদ্ধতিতে তা নিশ্চিত করা যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই স্বাধীনভাবে তা নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়া উচিত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584