নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
বালি খাদান বন্ধের দাবীতে ফের উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার কেশেডাল চৈতন্যপুর।আবারও বালি খাদানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা।আগুন লাগানো হয় বালি খাদান এলাকায় থাকা একটি অস্থায়ী ছাউনিতে।কেশেডাল ভগবন্তপুর গ্রামীন রাস্তা আটকে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধও করা হয়।এরআগেও ওই এলাকার শীলাবতী নদী থেকে বালি উঠাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিলো।
বেশকয়েকদিন বন্ধ ছিলো কেশেডাল চৈতন্যপুর এলাকায় বালি তোলা।গত দুএকদিন ফের বালি তোলা শুরু হলে আবারও গন্ডোগোলের সৃষ্টি হয়।স্থানীয়দের দাবী,যে জায়গায় বালি তোলা হচ্ছে তা বেআইনি।বালি তোলার জেরে এলাকার রাস্তা থেকে মানুষজনের ভোগান্তি হয়।বিশেষ করে এই এলাকার মহিলারা নদীতেই যাবতীয় কাজ করে।মহিলারা নদীতে স্নান করার সময় হেনস্থা ও কটুক্তি করা হয়।আমরা প্রশাসনকে জানালেও কোনও কর্নপাত করা হয়না।
বাধ্য হয়ে গ্রামের মহিলা পুরুষ মিলে নিজেরাই বালি খাদান বন্ধে আন্দোলনে নামতে হয়েছে।এদিন চৈতন্যপুর এলাকায় শিলাবতী নদীতে কয়েকটি ট্রাক্টর বালি বোঝাই করলে কেশেডাল এলাকার মানুষ তাতে বাধা দেয় এতেই উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা হলে তাতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।বিক্ষোভকারীরা দুটি ট্রাক্টর ভাঙ্গচুর চালায় এবং একটি আটকে রাখা হয় নদীতেই।খবর পেয়ে এলাকায় যায় চন্দ্রকোনা থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ সকালে পরীক্ষা হঠাৎ আগুনে ভস্মীভূত বইখাতা,মাথা গোঁজার ঠাঁই
পুলিশি হস্তক্ষেপে শেষমেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এলাকায় পুলিশ রয়েছে।যদিও এবিষয়ে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।এদিকে বালি খাদান মালিকের তরফে জানানো হয় খাদানটি বৈধ।দীর্ঘদিন থেকেই ওই খাদান থেকে বালি তোলা হচ্ছে,প্রশাসনও বিষয়টি জানে।
এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তির উস্কানিতে।চক্রান্ত করেই এসব ঘটানো হচ্ছে।গ্রামের মানুষের সাথে কোনও দুরব্যবহার করা হয়না।
এদিকে খাদান সম্পর্কে স্থানীয় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর সূত্রে জানাযায়,ওই খাদানটি বন্ধ ছিলো পাশের ঈশনগর বৈধ খাদানে সমস্যার জেরে।প্রশাসনের সকল আধিকারিকের সাথে কথা বলেই চৈতন্যপুর কেশেডাল খাদানটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।লোকাল সমস্যা দেখা দিলে আপাতত পুনরাই বন্ধ রাখা হতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584